ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মিকর্তা (ইউএনও) সন্জয় কুমার মোহন্ত রোববার আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুই শতাধিক পরিবারে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। ধুনট উপজেলার চুনিয়াপাড়া, নাটাবাড়ী, এলাঙ্গী, চৌকীবাড়ী, ধুনট সদরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পৌঁছে দেওয়া প্রতিটি প্যাকেট ঈদ সামগ্রীতে রয়েছে চিনি, চাল, সেমাই, তেল, লবণ ও চিড়া।
চুনিয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া রেজিনা বেগম বলেন, “রোজা আছিলাম। কোরআন শরীফ পড়ছি। চাইয়া দেখলাম ইউএনও স্যার। ঘর পাইয়া মন ভরছে; ঈদে চিনি, চাউল, সেউ [সেমাই] পাইয়া খুশি। স্যার ঘর দিয়া গেল, এগল্যা দিব চিন্তা করিনাই।”
একই আশ্রয়ণের শাহ আলী বলেন, “ঘর পেয়েছি বিনা ট্যাকায়; আবার ঈদের আগে সেউ (সেমাই), ত্যাল (তেল) দিল ইউএনও স্যার। খুব খুশি লাগবেনছে (লাগছে)। নুতন আচ্ছি (এসেছি) তাই, চেয়ারম্যান, মেম্বার, খোঁজ নেয় নাই, দেয়ও নাই। ঈদের আগে ঘর প্যালাম (পেলাম)। ঈদের চিনি, সেউসহ আরও কিছু পামু চিন্তাই করিনি। “উনি অন্য ধর্মের হলেও আমগোর ঈদে দিল। খোদা উনার ভালো করুক।”
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মোহন্ত ঈদ সামগ্রী বিতরণের সময় বলেন, ঈদের আগে অনেককে ঘর দেওয়া হয়েছে। এই ঘর পাওয়া মানুষ যমুনার নদী ভাঙন এলাকাসহ অনেক জায়গা থেকে এসেছে। “এরা ঈদের আগে কিছু পেয়েছে কিনা জানি না; তবে একজন প্রশাসক হিসেবে আমি তাদের মুখে একটু হলেও হাসি ফোটাতে আমার নিজ তহবিল থেকে কিছু দিয়েছি। যেমন প্রধানমন্ত্রী তাদের ঘর দিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। ধর্ম যার যার উৎসব সবার, আমারও।”
দৈনিক বগুড়া