শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় জব্দ সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা লিটারে বিক্রি

বগুড়ায় জব্দ সয়াবিন তেল ১৬০ টাকা লিটারে বিক্রি

বগুড়ার শেরপুরে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা ৫হাজার ৬৭৫লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আগের ১৬০টাকা দরের এসব সয়াবিন তেল ১৯৮টাকায় বিক্রি করছিল শহরের কর্মকার পাড়া এলাকার দুই ভাই ট্রেডার্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।গোপনে বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিনের নেতৃত্বে ওই প্রতিষ্ঠানটির গুদামে অভিযান চালানো হয়। এসময় উক্ত পরিমান বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার হয়।

পরে মাইকযোগে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে উদ্ধার হওয়া ওইসব তেল সরকার নির্ধারিত বোতলের গায়ে লেখা ১৬০টাকায় বিক্রি করা হয়।বুধবার (১৮মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ প্রাঙণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উদ্ধার হওয়া তেলগুলো বিক্রি করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের তত্ত¡াবধানে এই তেল বিক্রয় কার্যক্রম চালানো হয়। কমদামে তেল বিক্রির খবরে অসংখ্য সাধারণ মানুষ এসে ভিড় জমান।

পরে উপস্থিত নারী-পুরুষ ক্রেতারা সারিবদ্ধ হয়ে এই তেল সংগ্রহ করেন।ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা শারমিন বলেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। কিন্তু একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে সয়াবিন তেল মজুত করেন। আগের দামে কেনা সয়াবিন তেল নতুন বাড়তি দামে বিক্রি করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। পাশাপাশি হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন-গোপনে বিষয়টি জানতে পেরে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হয়।এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১৭মে) সন্ধ্যা রাতে শহরের কর্মকারপাড়া এলাকাস্থ দুই ভাই ট্রের্ডাসের মালিকানাধীন গুদাম ঘরে আগের দামে কেনা ৫হাজার ৬৭৫ লিটার সয়াবিন তেল মজুদ পাওয়া যায়। ওই গুদামে এক লিটার, দুই লিটার ও পাঁচ লিটারের বোতল ছিল।

সেসব ১৯৮টাকা দরে তেল বিক্রি করছিলেন। এরপর ওইসব তেল উদ্ধার করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙণে আনা হয়। সেইসঙ্গে প্রচারণা চালিয়ে বোতলের গায়ে লেখা পূর্বের বাজারদর অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া তেল বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় জনগণের মাঝে ১৬০টাকা লিটার দরে তা বিক্রি করেন। তিনি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই অভিযান অব্যাহত রাখার দৃঢ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে উদ্ধার হওয়া তেলগুলো পূর্বের দামে বিক্রি করা হচ্ছে, তাই জরিমানা ও জব্দ করা হয়নি। ক্রেতা সাধারণ ন্যায্য দামে তেল কিনতে পারছেন। মজুতদারি প্রতিরোধে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে বলে দাবি করেন তিনি।

দৈনিক বগুড়া