চলতি আমন মৌসুমে খরার ধাক্কায় বেসামাল হয়ে পড়েছিলেন বগুড়ার শেরপুরের কৃষকেরা। অবশেষে কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা পেল আমন চাষিরা। গত দুই দিনের বৃষ্টি প্রকৃতি প্রাণ ফিরে পেয়েছে। অনাবৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কৃষক কাঙ্খিত বৃষ্টিতে আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন। বৃষ্টি শুরু হতেই মাঠে কৃষকেরা আমন ধানের আবাদে লেগে পড়েছেন।
কৃষকেরা জানিয়েছেন, উপজেলার কৃষকেরা আমন ফসলের ওপর নির্ভরশীল। এখন আমন সবুজ চারা উপযুক্ত সময়ে রোপন করতে পারলে ভালো ফলান আসবে। বৃষ্টি না হওয়ায় খরায় অনেক সবুজ চারা লালচে হয়ে জ্বলে যাচ্ছিল। ১৫ দিন ধরে বৃষ্টির জন্য কৃষকেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। অবশেষে কাঙ্খিত বৃষ্টির পেয়ে কৃষকেরা উচ্ছ্বসিত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত দুই দিনের বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমেছে। সেই পানিতেই কৃষরা জমি প্রস্তুত করে চারা রোপন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে কাজের কোনো চাপ না থাকায় কৃষি শ্রমিকদের হাতের নাগালেই পাওয়া যাচ্ছে। আমনের জমি তৈরিতে মহিলা দিনমুজর ২৫০ টাকা ও পুরুষ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
কুসুম্বি ইউনিয়নের বউ বাজার এলাকার সাইদুল ইসলাম জানান, আমি ১৬ বিঘা জমি চাষ করছি। বৃষ্টি না হওয়ায় চারাগুলো খরায় লালচে হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। এতে তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন। গত ৪ দিন হল জমি পানি সেচ দিয়ে লাগানো শুরু করি। এরই মধ্যে অবশেষে বৃষ্টি হওয়ায় তিনি খুশি।
জেলা আবাহাওয়া অফিস জানায়, বগুড়ায় ২৩ জুলাই থেকে ২৫ জুলই পর্যন্ত ৭৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৩ জুলাই বগুড়ায় ৮০ মিলিমিটার, ২৪ জুলাই ৪৮০ মিলিমিটার ও ২৫ জুলাই ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি পাত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারি কৃষি অফিসার জিএম মাসুদ জানান, অনাবৃষ্টির জন্য আমন ধান রোপনে গতি বেগ পেতে হয়েছে। গত ২ থেকে ৩ দিন হয়েছে বৃষ্টি হচ্ছে এতে কৃষকের ধান রোপনের গতি বেড়ে গেছে। আশা করছি আগস্টের ২০ তারিখের মধ্যে রোপন সম্পন্ন হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার মোসা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, এবার শেরপুর উপজেলায় ২১ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হবে। এ পর্যন্ত আমন ধান রোপন হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর।
দৈনিক বগুড়া