মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় শাজাহানপুরে জামায়াতের ১০ সক্রিয় কর্মী গ্রেফতার

বগুড়ায় শাজাহানপুরে জামায়াতের ১০ সক্রিয় কর্মী গ্রেফতার

বগুড়ার শাজাহানপুরে জামায়াতের ১০ সক্রিয় কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উপজেলার শাজাহানপুর ফটকি ব্রিজের উত্তর পাশে নাশকতার পরিকল্পনায় বৈঠক থেকে রবিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছে চারটি তাজা ককটেল, শাবল, লাঠিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। পুলিশ তাদেরসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে থানায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক মামলা করেছে।

শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এরা নিজেদের জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ও নাশকতার পরিকল্পনার বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

গ্রেফতার জামায়াত কর্মীরা হলেন-বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর দাড়িকামারী দক্ষিণপাড়ার মৃত বদিউল আলমের ছেলে আবদুল মতিন (৬৭), সুজাবাদ বালাপাড়ার মৃত হাফিজার রহমানের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক ঠান্ডু (৫০), সুজাবাদ রাজধানীপাড়ার মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের ছেলে মোকাদ্দেসুর রহমান মুত্তাকিম (২৭), সুজাবাদ উত্তরপড়ার মৃত মনির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪২), জামুন্না বগুড়াপাড়ার মৃত শওকাত আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম (৫৫), লতিফপুর মধ্যপাড়ার মৃত আবদুল মজিদের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫২), বেজোড়া দক্ষিণপাড়ার মৃত সাহেব আলী সরকারের ছেলে আনসার আলী (৫৮), একই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মো: আরাফ (২৭), শেরপুর উপজেলার কলতা গ্রামের মৃত মোবারক আলী প্রামানিকের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৫০) ও একই উপজেলা কালশিমাটি গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার ফজরের নামাজের আগে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর ফটকি ব্রিজের উত্তরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে খোলা মাঠে জামায়াতের সক্রিয় ৪০-৫০ জন কর্মী সমবেত হন। সেখানে তারা কোথাও নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে গোপন বৈঠক করছিলেন। গোপনে এমন খবর পেয়ে শাজাহানপুর থানার ফোর্স সেখানে অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জামায়াতের কর্মীরা পালাতে থাকেন। সেখান থেকে ধাওয়া করে উল্লিখিত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তাদের কাছে চারটি তাজা ককটেল, চারটি লোহার শাবল, পাঁচটি হাতুড়ি, পাঁচটি লোহার সেনি, কাঠ ও বাঁশের ১৫টি লাঠি পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে শাজাহানপুর থানার এসআই হাসান হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক মামলা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এরা ১০ জন নিজেদের জামায়াতের সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করেছেন।

দৈনিক বগুড়া