বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মহাস্থান হাটে কাঁচা মরিচের পর্যাপ্ত আমদানি, স্বস্তিতে ক্রেতারা

মহাস্থান হাটে কাঁচা মরিচের পর্যাপ্ত আমদানি, স্বস্তিতে ক্রেতারা

বগুড়ার মহাস্থানে পর্যাপ্ত আমদানিতে দামে স্বস্তি ফিরেছে কাঁচা মরিচ। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেকে নেমেছে। ১ সপ্তাহ আগেও যে মরিচ ছিল খোলা বাজারে ২০০ টাকা কেজিরও ওপরে এখন তা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।  বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান পাইকারি হাটে অবশ্য প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি পর্যন্ত। কারণ হিসেবে আমদানি বাড়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (২৪আগস্ট) সকালে বগুড়ার মহাস্থান হাটের সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আশেপাশের স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত ফলন কাঁচা মরিচ বাজারে পর্যাপ্ত পরিমান আমদানি হয়েছে। কৃষকেরা খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে দরদাম করে মরিচের মানের ওপর প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করছেন ৬০-৮০ টাকা দরে। সেই মরিচ খোলা বাজারে খুচরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করছেন ১১০-১২০ টাকা দরে।

আলী আজম নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, সপ্তাহ খানেক আগে কাঁচা মরিচের দাম ছিল খুব চড়া। পাইকারি বাজারেই কিনতে হতো ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি৷ এখন সেই মরিচ সর্বোচ্চ বাজার ৮০ টাকা কেজি।

মহাস্থান বাজারে আসা ক্রেতারা বলছেন, ‘কাঁচা মরিচের দাম অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। তবে এর সঙ্গে যদি অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমে যেতো তাহলে সাধারণ মানুষ অনেকটাই স্বস্তি ফিরে পেতো।’ মহাস্থান হাটে আসা দূরের পাইকাররা জানান, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারনে মহাস্থান হাটের কাঁচা মরিচ কিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে পরিবহন খরচ অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। তাই ওই সব বাজারে মরিচের দাম এখনো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

অনেকেই মরিচের দাম কমার কারন হিসেবে বলছেন, ভারত থেকে প্রচুর কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। এভাবে আমদানি থাকলে সামনে দিন গুলোতে দাম আরও কমতে পারে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ধারনা।

দৈনিক বগুড়া