এ বছর বগুড়ায় পাটের ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক । গত বছর থেকে পাটের ভালো দাম পওয়ায়এবার জেলায় পাট চষে বেড়ে গেছে। এ বছর বগুড়ায় ১৩হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ১লাখ ৬৮ হাজার ৫৫০ বেল। গত বছর বগুড়ায় ১২ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল।
গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় এবার পাট চষে চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। । গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ১১০ হেক্টর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচলাক এনামুল হক জানান , এক বিঘা জামিতে পাট চাষে কৃষকের খরচ পড়ে সাড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। বিঘাতে পাট উৎপাদন হয়ে ৮ থেকে ১০ মণ। এবার কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্র অতিক্রম করার আশাবদ ব্যক্ত করেছেন জেলার কৃষি বিভাগ। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় বগুড়াতে বিঘা প্রতি পাটের ফলন সাড়ে ৯ মণ ছাড়িয়ে গেছে এমটি জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জেলায় তোষা জাতের উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে।
উত্তরাঞ্চলে বড় পাটের হাট বসে পাবনা জেল্ায়। পাট কল বগুড়া ভান্ডারের মালিক তোফাজ্জাল হোসেন জানান, বগুড়া প্রায় ১৭ টি পাট কল মালিক পাবনার হাটে পাট কিনতে ভিড় করছে। পাবনার কাশিনাথপুর, সাঁথিয়ার হাটে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ৩২০০ টাকা । বগুড়ার সারিয়াকান্দির পাট বিখ্যাত এখানে ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা মণ দরে পাট বেচা-কেনা হচ্ছে।
এরমধ্যে জেলায় শত শতাংশ জমির পাট কাটা হয়ে গেছে। এ দিকে হাটে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। এবার পাটের বাজার কৃষককের অনুকূলে। জেলার সারিয়াকান্দি, ধুনট সোনাতলা , গাবতলীতে বেশি পাটের চাষ হয়ে থাকে। এবার জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার গত মঙ্গলবার হাটে ৩ হাজার টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হয়েছে।
জেলা মুখ্য পাট কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান,এবার পাটের ফলন খুব ভালো হয়েছে। পাটের ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় ১৪ টি পাট কল আছে এসব পাটকল পাট কেনা শুরু করলে পাটের দাম আরো বাড়বে।
দৈনিক বগুড়া