বগুড়ার শেরপুরে অনুমোদনহীন ভেজাল পশুখাদ্য তৈরীর কারখানার সন্ধান মিলেছে। ওই কারখানাটির নাম জোয়াদ্দার পোল্ট্রি ফিড কোম্পানি। শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ওই কারখানাটির সন্ধান মেলে। পরে কারখানাটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম। এসময় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রায়হান পিএএ, শেরপুর থানা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রায়হান পিএএ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের শুবলি গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দা ফরহাদ জোয়ার্দার একটি পশুখাদ্য তৈরীর কারখানা গড়েন। কোনো প্রকার সরকারি অনুমোদন ছাড়াই পশু খাদ্য তৈরী শুরু করেন। যা সম্পুর্ণ মানহীন খাদ্যপণ্য। এছাড়া রকমারি ক্ষতিকর কেমিক্যালও ব্যবহার করছিলেন তিনি। সেইসঙ্গে ভেজাল ওইসব পশু খাদ্য তৈরী করে বিভিন্ন পোল্ট্রি ফিড কোম্পানির লেভেল ও মোড়ক এবং প্যাকেটে ভরে বাজারজাত করা হচ্ছিল। গোপনে এমন অভিযোগ পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম।
এসময় অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে পশু খাদ্য তৈরী করায় মৎস্য ও পশুখাদ্য উৎপাদন আইন-২০১০ এর আওতায় ওই কারখানার মালিককে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সেইসঙ্গে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়ার পাশাপাশি সিলগালা করে দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জনস্বার্থে ভেজাল বিরোধী এই অভিযান অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন তিনি।
দৈনিক বগুড়া
