শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সোনাতলায় পাটের ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা

সোনাতলায় পাটের ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা

বগুড়ার সোনাতলায় হাট-বাজারে প্রচুর পাটের আমদানি হয়েছে। দামও বেশ ভালো। অর্থকরী ফসল পাট বিক্রি করে নগদ অর্থ ঘরে তুলতে পেরে বেজায় খুশি ওই এলাকার কৃষক। সোনাতলা উপজেলায় এবার রেকর্ডসংখ্যক জমিতে কৃষক পাট চাষ করেছে। পাটের উৎপাদন হয়েছে বেশ ভালো। সেইসঙ্গে পাটের দাম পেয়েও খুশি কৃষক।

সরেজমিনে বুধবার উপজেলার হাটকরমজা ও সৈয়দ আহম্মদ কলেজ হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি মণ তোষা জাতের পাট ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও দেশী জাতের পাট ২৫ থেকে ২৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলার দ্বিতীয় পাট আমদানি হাট সৈয়দ আহম্মদ কলেজ হাট। প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে দুদিন হাট বসে। প্রতিটি হাট বারে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভটভটি ও ভ্যান যোগে শতশত মণ পাট ওই হাটে আমদানি হয়। পাট ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক মহাজন মোটরসাইকেল ও মাইক্রোযোগে আসেন ওই হাটে। প্রতি হাট বারে লাখ লাখ টাকার পাট বেচাবিক্রি হয় ওই হাটে। এ ছাড়াও কখনো কখনো কোটি টাকা বেচাবিক্রি পেরিয়ে যায়।

হাট কমিটির ইজারাদার সামিউল ইসলাম দাবি করেন, এটি জেলার দ্বিতীয় পাট আমদানিকৃত হাট।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার সোনাতলা উপজেলার একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে প্রায় এক হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, আরও বিপুল পরিমাণ জমিতে এবার পাটের ফসল বপন করেছে কৃষক।

খাবুলিয়া এলাকার কৃষক এনামুল হক জানান, এবার তিনি সাত বিঘা জমিতে তোষা জাতের পাট বপন করেছিলেন। ইতিমধ্যেই তিনি ৭০/৮০ হাজার টাকার পাট বিক্রি করেছেন। একই এলাকার সাইদুর রহমান জানান, এবার তিনি আট বিঘা জমিতে পাট বপন করেছেন। উৎপাদন হয়েছে বেশ ভালো। এবার পাটের বেশি দাম পেয়ে খুশি তারা। পাকুল্লা এলাকার জুলফিকার রহমান টিটু, বেলাল মাস্টার, সোনা মিয়া মাস্টার জানান, এক সময় এক মণ পাট বিক্রি করে এক কেজি ইলিশ মাছ কেনা যেত না। এখন এক মণ পাট বিক্রি করে অনেক কিছু কেনা সম্ভব।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ জানান, বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষকবান্ধব সরকার। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্য পাটের বীজ, কীটনাশক ও সার বিতরণ করা হয়ছে। এ ছাড়াও কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও কৃষক সচেতনতার ফলে এবার কৃষক পাট চাষে বেশি উদ্বুদ্ধ হয়েছে। কৃষক তোষা জাতের ও-বারি-১ নামক দুইটি জাতের পাট বেশি বপন করেছে। প্রতি বিঘায় ৮-১২ মণ পাট উৎপন্ন হয়েছে। ফলে ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাটের ফসল হয়েছে। পাট বিক্রি করে দামও পাচ্ছে ভালো।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই