শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন এসপি

বগুড়ায় কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন এসপি

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নে সোমবার বিকেলে সরকার বাড়ী তালিমুল কুরআন কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পের উদ্যোক্তা ও স্বপ্নদ্রষ্টা গণমাধ্যমকর্মী তানজিজুল ইসলাম স্বরণের ব্যবস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম।

উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নিজের পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া সম্পত্তি থেকে এতিম শিশুদের জন্যে মাদ্রাসা, মসজিদ এবং বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ করার যে পরিকল্পনা সাংবাদিকতা পেশায় থেকে স্বরণ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয় । ইতিবাচক এই উদ্যোগে পাশে থাকারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই এই বাংলাদেশে  ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে মানুষ সম্প্রীতি নিয়ে বসবাস করছে। প্রতিটি ধর্মই মানুুষকে পরিশুদ্ধ করে তোলে এবং শান্তির পথে ধাবিত করে। তাই প্রতিটি মানুষের উচিত নিজের ভাল কর্মের মাধ্যমে মৃত্যুর পরেও সকলের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকার প্রচেষ্টা করা।

প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের উত্তরাঞ্চলীয় ব্যুরো প্রধান হাসিবুর রহমান বিলু, বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও জেলা স্বাচিপ সভাপতি ডা: সামির হোসেন মিশু, নন্দীগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদৎ হোসেন, শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন, চোপীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান বাবলু এবং শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন।

উদ্বোধনী আলোচনা শেষে প্রকল্পের সার্বিক কার্যক্রমের সফলতা কামনা এবং দেশ ও দশের দোয়া কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন বগুড়া জামিল মাদ্রাসার মুফতি মোহাম্মদ। পরবর্তীতে জেলা পুলিশ সুপার ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন করেন।

মাদ্রাসা, এতিমখানা নির্মাণ এবং সার্বিক প্রকল্প প্রসঙ্গে সাংবাদিক স্বরণ জানান, নেকটারে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বাবাকে তিনি ছোটবেলাতে হারিয়েছেন এবং এই বছর তার জন্মদিনের দিন মালয়েশিয়াতে মার্সিডিজ বেঞ্জে কর্মরত থাকা তার একমাত্র ভাইকে অকালে হারিয়েছেন। পৃথিবীতে তার শিক্ষক মা এবং নিকটাত্মীয় ছাড়া তেমন কেউ নেই। তার মৃত বাবা এবং তার মায়ের আদেশে এই মহৎ কাজের উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন।

তিনি বলেন, ধীরে ধীরে তার নিজ গ্রাম চোপীনগরে মাদ্রাসা, এতিমখানা, একটি মসজিদ এবং বৃদ্ধাশ্রম করার পরিকল্পনা নিয়ে এই প্রকল্পে তিনি কাজ শুরু করেছেন। সেই সাথে সদ্য হারানো তার একমাত্র ভাইয়ের স্বরণে রাফি স্মৃতি পাঠাগার নামে একটি আধুনিক পাঠাগার স্থাপনের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি। সেই লক্ষ্যে তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। 

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই