শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার রেলওয়ে সার্বজনীন মন্দিরের সামনে জমে উঠেছে পূজার মেলা। শনিবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া মেলাটি শেষ হবে আগামী বুধবার বিজয়া দশমীতে। দূর্গাপূজায় বাড়তি আনন্দ দেয় এই মেলা। মেলার চারপাশে হরেক রকম পণ্যের স্টল। লোকের ভিড়ভাট্টায় দাঁড়ানোই মুশকিল।
শনিবার বিকেলে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের রেলওয়ে সার্বজনীন মন্দিরের গিয়ে দেখা যায়, দেবীদর্শনের পাশাপাশি ভক্তেরা ভিড় জমাচ্ছেন মেলাতে। মেলার প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে দুই ধারে বাহারি পণ্যের স্টল। নাগরদোলা, চরকিসহ রয়েছে শিশু-কিশোরদের জন্য রয়েছে বিনোদনের নানা ব্যবস্থা। তাছাড়া খাজা-গজা, জিলাপীসহ রকমারি খাবার তো আছেই। পাশাপাশি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়াতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মন্ডা-মিঠাই, নিমকি, লাড্ডু, রসগোল্লাসহ নানা রকম মিষ্টিজাতীয় খাবারগুলো। শুধু তাই নয়, মাটির তৈজসপত্রের পাশাপাশি প্লাস্টিকের নানা ধরনের খেলনা, মেয়েদের জন্য বাহারি কসমেটিক্সের দোকানও বসেছে মেলায়।
মেলার দক্ষিণ পাশে নাগরদোলা ও চড়কির জায়গা করা হয়েছে। এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল নাগরদোলার সামনে লম্বা লাইন। সেই নাগরদোলায় চড়তে পেরে আনন্দে আটখানা শিশু তমাল। নেমে এসে বলল,‘এখানে চড়তে খুব মজা।’ মেলায় সকাল থেকে তেমন একটা ভিড় না থাকলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসা মাত্র জমজমাট হয় মেলাটি। মেলা ঘুরে কথা হয় মিষ্টি বিক্রেতা চঞ্চল ও গৌতমের সাথে।
তারা জানান, খদ্দেরের সামনেই বানানো হচ্ছে খাবারগুলো। গরম গরম এসব টাটকা জিনিসপত্র পেয়ে তারা অত্যন্ত খুশি। সেই সাথে বেচা-বিক্রি নিয়ে তারাও সন্তুষ্ট। সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও অনেকে ঘুরতে এসেছেন মেলায়। তাদের মধ্যে কথা হয় নূর মোহাম্মদ, মামুন হোসেন ও সুমনের সাথে।
তারা জানান, সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে চোখে পড়ে মেলাটি। বৈশাখ আর পূজা ছাড়া মেলার আমেজ তো পাওয়া যায় না। মেলায় ঘুরে ঘুরে পছন্দের জিনিসপত্র কিনলেন তারা। এই পূজার মেলা বসে প্রায় এক যুগেরও অধিক সময় ধরে। আদমদীঘি উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশিত দেবনাথ বাপ্পা জানান, ‘এই মেলা আমাদের উৎসবের আমেজ আরও বাড়িয়ে দেয়।’ বুধবার বিজয়া দশমী। দেবী দূর্গা বিদায় নেবেন। মেলাও ভাঙবে। আবার আগামী বছর দেবীর আগমনের মধ্য দিয়ে মণ্ডপের আশপাশে বসবে মেলা।’
দৈনিক বগুড়া