বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আগাম শিম চাষে লাভবান বগুড়ার কৃষকেরা

আগাম শিম চাষে লাভবান বগুড়ার কৃষকেরা

বগুড়ার বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের আগাম শিম। শিমের ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন জেলার প্রান্তিক কৃষকেরা। নারুয়ামলা গ্রামের আব্বাস মিয়া বলেন, `আগাম শিম চাষ করে বেশ ভালো দাম পাচ্ছি। দাম ভালো পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। প্রতি কেজি শিম ৮০-৯০ টাকা দরে বিক্রি করছি।‘ প্রায় একই কথা জানান মঙ্গল হাটের চাষি কুদ্দুসও। কুদ্দুস জানান, তিনি আগাম জাতের শিম চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন।

আগাম লাগানো এ শিম গাছ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যায়। ৬ মাসে তিনি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। অবশ্য বাজার ভালো থাকলে অনেক সময় লাখ টাকার শিম বিক্রি হবার সম্ভাবনা থাকে।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ঘেরের আইল এবং রাস্তার দুই পাশেও চোখে পড়ে শিমগাছের দীর্ঘ সারি। সবুজ পাতার মধ্যে লকলক করছে শিমের শিষ। আর শিষে ধরে আছে বেগুনি ও হালকা সাদা ফুল। আর কিছু শিষে উঁকি দিচ্ছে তরতাজা শিম। কৃষক শিমক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

কৃষকরা বলছেন, কীটনাশকের দাম অনেকটা বেশি। কিন্তু পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শিম ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বেশ লাভ হবে।
বগুড়ার শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ, শেরপুর, কাহালু ও গাবতলী উপজেলায় এরই মধ্যে শীতের আগাম জাতের শিমে ভরে উঠেছে মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি শিম গাছ। 

মাঠের পর মাঠ শিমের আবাদে ভরে গেছে। অনেক কৃষক শিমের ক্ষেতে কাজ করছেন। আবার কেউ ক্ষেত থেকে শিম তুলছেন। পল্লী মঙ্গল হাটের পাশে মাঠে দেখা যায় শিম চাষি জমি পরিচর্যা করছেন। বগুড়ার পল্লী মঙ্গল ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে আগাম জাতের শিম। আগাম শিম বাজারে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কৃষকরা পাইকারি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে শিম বিক্রি করছেন। আগাম শিম চাষ করে এ এলাকার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ফুলে ফুলে ভরে গেছে শিমগাছ। কৃষক শিমক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকরা বলছেন, কীটনাশকের দাম অনেকটা বেশি। কিন্তু পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শিম ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বেশ লাভ হবে।বগুড়ার শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ, শেরপুর, কাহালু ও গাবতলী উপজেলায় এরই মধ্যে শীতের আগাম জাতের শিমে ভরে উঠেছে মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি শিম গাছ।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, এ বছর বগুড়ায় আগামজাতের শীতকালিন সবজি চাষ হয়েছে ২ হাজার ৮ শ হেক্টর জমিতে। যা থেকে আগাম শীতকালীন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যাবে। আগাম শীতকালীন সবজির চাষ আরও বাড়বে। গত বছর ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ করেছিলেন চাষিরা। তা থেকে গত বছর প্রায় ৫৪ হাজার মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। বগুড়ায় চাষ করা সবজি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হয়ে থাকে।

দৈনিক বগুড়া