শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শীতের আমেজে বগুড়ায় ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম

শীতের আমেজে বগুড়ায় ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম

শীতের আমেজে পিঠাপুলি বাঙালির আদি খাদ্য সংস্কৃতির একটি অংশ। প্রকৃতির নিয়মানুসারে নির্দিষ্ট সময়ের পর ঋতুর পরিবর্তন ঘটে। একেক ঋতুর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য। তেমনই শীতকাল সবদিকে উপভোগ্য এক ঋতু। শীত মানেই পিঠাপুলির মৌসুম। শীতকালে অন্যসব পিঠার মধ্যে জনপ্রিয় পিঠা হলো ভাপা পিঠা। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে ধুম পড়ে যায় হরেক রকমের পিঠা বানানোর। তবে এখন আর ঘরে নয় কর্মজীবি মানুষেরা যেন শীতের পিঠার আমেজ থেকে বাদ না পড়ে সেজন্য বগুড়ায় গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান।

শুক্রবার (১১ই নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বগুড়ার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথার জিরো পয়েন্ট, রাস্তার ফুটপাত ও শহরের বিভিন্ন মোড় ঘুরে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

বিভিন্ন রঙের পিঠার পসরা সাজিয়ে রেখেছেন ভ্রাম্যমান দোকানিরা। ক্রেতাদের আগমনে চলছে ভাঁপা পিঠা বিক্রির ধুম। কেউ খুব সকালে কেউবা বিকেলে আবার কেউ কেউ সন্ধ্যায় দোকান বসিয়ে বিক্রি করছেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরেই জমে উঠে এসব পিঠা বিক্রি। এই পিঠার স্বাদ পেতে রিকশা-চালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, ছুটির দিনে চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী সব শ্রেণি-পেশার মানুষই পিঠার দোকানে ভিড় করছে। ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের চার পাশ ঘিরে পিঠার অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে পিঠা প্রেমীদের। কেউ বসে আবার কেউবা দাঁড়িয়ে। কদরও বেড়েছে এ সকল দোকানের।

দেখা যায়, চালের গুঁড়া, নারিকেল, লবঙ্গ, মোরব্বা, খেজুরের গুড় দিয়ে বানানো হয় ভাপা পিঠা। গোল আকারের এ পিঠা পাতলা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ঢাকনা দেয়া হাঁড়ির ফুটন্ত পানির ভাপ দিয়ে তৈরি করা হয়। এ কারণেই এর নাম ভাপা পিঠা। তবে পিঠা বিক্রেতারা বলছেন চালসহ দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হলেও পিঠার দাম বাড়েনি।

পিঠা বিক্রি করতে শহরে আসা বগুড়ার কাহালু উপজেলার জামগ্রামের মেহেদী হাসান জানান প্রতিদিন বিকেল হলেই ভ্রাম্যমান ভ্যানে দোকান নিয়ে আসি শহরে। বেচাকেনা ভালো হলে দিনে দেড়শো থেকে দুইশো পিচ পিঠা বিক্রি করে থাকি। প্রতিটি পিঠার দাম নেয়া হচ্ছে পনেরো থেকে বিশ টাকা। এতে তিন থেকে চার হাজার টাকা বিক্রি হয়, সব খরচ মিটিয়ে মোটামুটি ভালোই লাভ থাকে। আবার কোনো কোনো দিন ব্যবসা খারাপও হয়।

কথা হয় বগুড়া শহরের মালতিনগরের পিঠা বিক্রেতা হাসেন আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, শীত আসতেই কাজের চাপ বেড়ে যায়। পিঠা বানানো থেকে সবকিছু করতে হয় নিজেকেই। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার হয়। তিনি জানান ২টি চুলায় পিঠা তৈরি করেন। প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা বানানো ও বিক্রি। এদিকে পিঠা খেতে আসা শহরের বনানী বেতগাড়ীর সোহাগ মন্ডল বলেন, আমি প্রতিবছর শীত মৌসুমে সন্ধ্যা হলেই সাতমাথায় এসে ভ্রাম্যমাণ দোকানের এ সুস্বাদু ভাপা পিঠা খাই আবার বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের জন্যও কিনে নিয়ে যাই। আমার প্রিয় স্বাদের খাবার ভাপা পিঠা। ব্যস্ততার কারণে বাড়িতে পিঠা খাওয়ার সময় হয়ে ওঠে না। তাই এখানে না বসে দাঁড়িয়ে সেই স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করছি। দাঁড়িয়ে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। এতে তারা যেমন লাভবান হচ্ছে আমরাও পিঠার স্বাদ নিতে পারছি।

বগুড়া শহরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান নামে এক পিঠা ক্রেতা জানান, এ সকল ভ্রাম্যমান দোকান ছাড়া শীতকালীন পিঠা তেমন একটা চোখে পড়ে না। তাদের জন্য আমরা পিঠার স্বাদ নিতে পারছি। চাকরির কারণে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় খুব কম। তবে এই শীতের মৌসুমে সস্তায় পিঠা খেতে ভালোই লাগে, অনেকটা মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ পাওয়া যায় এতে।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

এবার উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির!
বগুড়ায় পানি নিষ্কাশনে ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
বগুড়ায় দাম কমেছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের
বগুড়ার বিখ্যাত সাদা সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
গাবতলীতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
সারিয়াকান্দিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা পালিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু