বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নন্দীগ্রামে প্রতি বিঘার আমন ধানে কৃষকের আয় ৪০ হাজার টাকা

নন্দীগ্রামে প্রতি বিঘার আমন ধানে কৃষকের আয় ৪০ হাজার টাকা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে আগাম জাতের আমন ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে। ধানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে এখন হাঁসির ঝিলিক। আমন মৌসুমে এ উপজেলার কৃষকরা বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছে। এর মধ্যে আগাম জাতের ব্রি ধান ৯০ চাষ করে কৃষকরা এক বিঘা জমি থেকে ৩৫-৪০ হাজার টাকার ধান বিক্রি করছেন। ধান চাষ করে এর আগে এক বিঘা জমি থেকে এত টাকার ধান কখনও বিক্রি করতে পারেনি এ উপজেলার কৃষকরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্রি ধান ৯০ প্রতি বিঘায় ফলন হচ্ছে ১৮-১৯ মণ। এখন ব্রি ধান ৯০ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০৫০ থেকে ২১০০শো টাকা। এছাড়া অন্যান্য ধানের দামও বেশ ভালো।

উপজেলা কৃষি আফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে ৯১ হাজার ৫১৫ মেট্রিকটণ ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা ব্রি ধান-৪৯, ব্রি ধান-৩৪, ব্রি ধান-৯০, ব্রি ধান-৭৫, বিনা-৭ ও কাটারিভোগসহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছে।

উপজেলার দোহার গ্রামের কৃষক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, ব্রি ধান-৯০ চাষ করলে ধান আগে কাট যায়। ওই জমিতে সরিষা ও আলু লাগানো যায়। ধানের ফলন ও দাম ভালোই আছে। আগামীতে ৯০ ধানের চাষ আরো বাড়বে।

উপজেলার দলগাছা গ্রামের কৃষক মুনিরুজ্জামান জানান, এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তেমনি ধানের বাজারমূল্যও বেশ ভালো রয়েছে। আমি ৩০ বিঘা জমির মধ্যে ১১ বিঘা জমিতে ব্রি ধান-৯০ চাষ করেছিলাম। ফলন হয়েছে প্রতি বিঘায় ১৭ মণ করে। ২০০০ টাকা দরে কয়েক মণ ধান বিক্রি করেছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবুর জানান, এ উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। আগাম জাতের ধানের মধ্যে ব্রি ধান-৯০ এর ফলন হচ্ছে ১৮-১৯ মণ। ধানের বাজারও বেশ ভালো। আমার বিশ্বাস আগামীতে আমন মৌসুমে ব্রি ধান-৯০ কৃষকদের কাছে উল্লেখ্যযোগ্য ভ্যারাইটি হিসাবে পৌঁছাবে।

দৈনিক বগুড়া