মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনের আশা

বগুড়ায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনের আশা

জেলায় এবার শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। ভোরে শীতে কুয়াশার চাদর ঠেলে সূর্যের আলোতে ঝলমল করে ওঠে বগুড়ার সবজি ক্ষেত। নানা রকম সবজিতে ভরে উঠেছে ক্ষেত। মাঠে কপি,মাচায় ঝুলছে  লাউ, শিম, বরবটি। কৃষকের আনন্দ যেন আর ধরে না। এবার মাঠে যেমন আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তেমনি সবজিতে মাঠ ভরে উঠেছে। কাক ডাকা ভোরে কৃষক ছুটে চলে সবজি  ক্ষেত পরিচর্যার জন্য। 

বগুড়ায় এ বছর যেমন আমনের বাম্পার ফলন ফলেছে তেমনি সবজির ভালো ফলনে কৃষক খুশি। প্রতি বছর বগুড়া থেকে আরু ও বাঁধা কপি মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে সবজি রফতানী হয়ে থাকে। যে কোন বছরের চেয়ে এ বছর অধিক পরিমান সবজি বিদেশে রফতানী হওয়ার আশা করছে জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, জেলায় গত বছরের চেয়ে  এবার শতাাধিক  হেক্টর বেশি জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, গত বছর সবজি চাষ করে কাঙ্খিত ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর বগুড়ার কৃষকরা সবজি চাষে ঝুঁকেছে। জেলার কৃষি কর্মকর্তরা আরো জানান,এবার আবহাওয়া সবজি চাষের অনুকূল হওয়ায় সবজির  বাম্পার ফলন পাওয়ার আশা করছেন কৃষকরা। 

গতবছর বগুড়া জেলাতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়ে ছিল ১৪ হাজার ১১৪ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছিল ।আর  শীত কালীন সবজির ফলন হয়েছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে  ৫ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টনবেশি।  ফুল কপি, বাঁধা কপি, শিম, মূলা, লাউ ,বরবটিসহ নানা সবজি উৎপাদন হয়েছে।  এ বছর জেলাতে ১৪ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষর লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে  ৩ লাখ ২৯ হাজার ৮৫৭ মেট্রিক টন।  এখনও  রোপণ চলমান আছে। এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবার আাশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা। জেলা সব চেয়ে বড় মোকাম মহাস্থান হাটে শীত কালীন সবজি বেচা -কেনা  করতে  প্রতিদিন সকাল থেকে পাইকাদের পদচারণায়  মুখর হয়ে ওঠে।

উত্তারাঞ্চেলের বড় সবজির হাটে কপি, মূলা বিক্রি করতে আসা শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষক আফজাল, সোলাইমান জানান, তারা আগাম সবজি রোপণ করে ভালো দাম পেয়েছে।শিম চাষি তার ক্ষেতে এবার প্রচুর শিম  হয়েছে। আফজাল জানান, আগাম সবজি চাষ করেছেন ফুল কাপ, বাঁধাকপি, বরবটি। যেমন কঙ্ঘিত ফলন পেয়েছেন । তেমনি ভালো দামও পেয়েছেন। 

গত এক মাসে আগে ফুলকপি ৮০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা কেজি, মূলা ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা, শিম ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এখনও জমিতে যে সবজি আছে তার দাম অর্ধেকে নেমে আসে তাও তাদের লোকসান গুনতে হবে না। কৃষক আফজাল জানান, তারা যে জমিতে আগাম কপি লাগিয়েছিলেন সেই জমিতে আরো দুই দফা কপি লাগাবেন। এদিকে হাটে-বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সব ধরনের সবজির দাম অর্ধেকে নেমে আসায় ক্রেতারা স্বস্তিতে রয়েছে। 

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই