শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় আমন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৭ হাজার ১৩৭ মেট্রিক টন

বগুড়ায় আমন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৭ হাজার ১৩৭ মেট্রিক টন

বগুড়ায় চলতি মৌসুমে আমন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ১৩৭ মেট্রিকটন। সোমবার বেলা ২টায় ডিজিটাল খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের মাধ্যমে জেলায় ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিনের সভাপতিত্বে শহরের চকসুত্রাপুর সদর খাদ্য গুদাম চত্বরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল হক, সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের (এলএসডি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর রহমান, জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হকসহ আরও অনেকে।

জেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১০ হাজার ২২২ মেট্রিকটন ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার ৯২১ মেট্রিকটন। এর মধ্যে ধান প্রতি কেজি ২৮ টাকা ও সিদ্ধ চাল প্রতি কেজি ৪২ টাকা দরে কিনবে খাদ্য বিভাগ। গত ১৭ নভেম্বর’২২ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে। যা আগামী ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অবধি অব্যাহত থাকবে।

জেলার ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা বগুড়া সদর উপজেলায় ৫৪৮ মেট্রিকটন,  শাজাহানপুর উপজেলায় ৭৭৭ মেট্রিকটন, শিবগঞ্জ উপজেলায় ১১৩৩ মেট্রিকটন, সোনাতলা উপজেলায় ৫২৯ মেট্রিকটন, সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৬১৯ মেট্রিকটন, ধুনট উপজেলায় ৯৪৯ মেট্রিকটন, শেরপুর উপজেলায় ১২৪৫ মেট্রিকটন, নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১১০৫ মেট্রিকটন, কাহালু উপজেলায় ১০২১ মেট্রিকটন,  দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ৬৪৯ মেট্রিকটন ও আদমদীঘি উপজেলায় ৬৭৯ মেট্রিকটন। সিদ্ধ চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা বগুড়া সদর উপজেলায় ১৮৭০ মেট্রিকটন, শাজাহানপুর উপজেলায় ১১৭৫ মেট্রিকটন, শিবগঞ্জ উপজেলায় ১৯০৬ মেট্রিকটন, সোনাতলা উপজেলায় ৬০৭ মেট্রিকটন, সারিয়াকান্দি উপজেলায় ৮৪৪ মেট্রিকটন, ধুনট উপজেলায় ৪২৭ মেট্রিকটন, শেরপুর উপজেলায় ৫৩০৩ মেট্রিকটন, নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৯৯৬ মেট্রিকটন, কাহালু উপজেলায় ১৫৭৯ মেট্রিকটন,  দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ৫০৭৮ মেট্রিকটন ও আদমদীঘি উপজেলায় ৬২১০ মেট্রিকটন। সারা দেশের মতো বগুড়ার সকল উপজেলায় কৃষক অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হবে।

এবার জেলার ৪ উপজেলায় (বগুড়া সদর, শাজাহানপুর, শেরপুর ও দুপচাঁচিয়া) ডিজিটাল চাল সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের মাধ্যমে চাল সংগ্রহ করা হবে।

বগুড়া জেলায় সিদ্ধ চাল সংগ্রহে ১১টি হাস্কিং ও ৪টি অটোমেটিক রাইস মিলের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ১ হাজার ৩৯৩ দশমিক ৩৫০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে। বগুড়ায় ধান-চাল সংগ্রহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কুটুরবাড়ি গ্রামের কৃষক শাহাদত হোসেনের কাছ থেকে ১ টন ধান কেনা হয়।

ধান বিক্রির বিষয়ে ওই কৃষক জানান, ২৮ টাকা কেজি দরে ১ টন আমন ধান বিক্রি করছেন সরকারিভাবে। গত বছরও একইভাবে ধান সরকারি গুদামে বিক্রি করেছিলেন। বাজারের তুলনায় সরকারিভাবে ধানের দাম কম। কিন্তু বাজারের ব্যাপারীদের ধান দিলে মাপের সময় বেশি নেয়। সঠিক সময়ে টাকা দেয় না। সরকারিভাবে ধান দিলে দাম পাওয়া যা দ্রুততম সময়ের মধ্যে। যা কাজে লাগানো সহজ হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিদ্ধ চাল সরবরাহে বগুড়ার মেসার্স কিবরিয়া অটোরাইস মিলের মালিক গোলাম কিবরিয়াকে চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন প্রধান অতিথি। এ সময় গোলাম কিবরিয়া জানান, তার মিল থেকে ৪৮৬ টন ১২২ কেজি চাল সরবরাহ করা হবে। প্রাথমিকভাবে তিনি ৩৪ মেট্রিকটন চাল সরবরাহ শুরু করেছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক জানান, সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের জন্য ডিজিটাল সিস্টেম চালু করেছে। ফরিয়াদের মাধ্যমে প্রতারিত না হয়ে খুব সহজে নিবন্ধন করে কৃষকেরা সরকারের কাছে তাদের ধান বিক্রি করতে পারবে। সরকারের কাছে কৃষক ও মিল মালিকদের কোনো সুপারিশ থাকলে তিনি তা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানিয়েছেন।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই