বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে শীতকালীন সবজি শিমের বাম্পার ফলনে চাষিদের স্বপ্নপূরণ

শেরপুরে শীতকালীন সবজি শিমের বাম্পার ফলনে চাষিদের স্বপ্নপূরণ

বগুড়ার শেরপুরে শীতকালীন সবজি শিমের বাম্পার ফলনে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে উপজেলার কৃষকদের। ভালো দাম ও ফলন পেয়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

শিমের রাজধানী খ্যাত শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ এবং খামারকান্দি ইউনিয়ন। আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসের শেষ পর্যন্ত বোপন মৌসুম হলেও চলতি বছর বৃষ্টির কারণে তা পিছিয়ে আশ্বিনে শুরু করতে হয়েছে।

এবার শুরু থেকেই শিমের বাজার ভালো। তবে বিভিন্ন পোকার আক্রমণ চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল চাষীদের কপালে। তারপরও দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একেক জন চাষী যেন নিজেরাই ফসলের ডাক্তার, শত রোগবালাইয়ের মাঝেও থেমে নেই শিম গাছের পরিচর্যা।

খামারকান্দি ইউনিয়নের পারভবানীপুর সুতারপাড়ার লাল মিয়া বলেন, আমাদের একমাত্র সম্বল কৃষি জমি চাষ। সেই বাপ দাদার আমল থেকেই শিম চাষ করছি। সময়ের সঙ্গে শিম গাছের রোগবালাইও বাড়ছে। রোগবালাই থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন কোম্পানি কিটনাশক বাজারে আনছেন। ফলে রোগের আক্রমণের ঠেকাতে প্রতি সপ্তাহে ২ বার ঔষধ দিতে হচ্ছে। এতে খরচও বাড়ছে উৎপাদনও বাড়ছে। এই মৌসুমে ৫০ শতক জমিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ৯০ হাজার টাকায় বিক্রয় হবে। সেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে।

কৃষক আল আমিন জানান, আমরা ৪৮ শতক জমিতে শিম চাষ করছি। গাছ মাচায় উঠে ফুল আসতে ৪ মাস সময় লাগছে। এবার শীতের শুরুতেই বাজারে শিম বিক্রয় শুরু করেছি। প্রতিবারের চেয়ে এবার বেশি লাভবান হয়েছি। বর্তমানেও ৩৫টাকা কেজিতে শিম পাইকেরি বিক্রয় করছি। এতে ৫মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, উপজেলায় এবার প্রায় ২৮০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। বিভিন্ন ফসল চাষে কৃষকদের নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ভালো ফসল বাজারে বিক্রয় করতে পারছেন। শিম চাষীদের পরামর্শ দিতে মাঠ ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মীরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

দৈনিক বগুড়া