শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ার শেরপুরে আলুতে স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা

বগুড়ার শেরপুরে আলুতে স্বপ্ন বুনছেন চাষিরা

বগুড়ার শেরপুরে আলুর বাম্পার ফলনের আশায় আলুচাষিরা চাষিরা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বৈরি আবহাওয়ার কবলে না পড়লে এবার আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন এবং স্বপ্ন বুনছেন এই উপজেলার চাষিরা। উৎপাদন ভালো হওয়ার পাশাপাশি ন্যায্য দামও পাওয়ার আশা তাদের। গত মৌসুমে আলুর ভালো ফলন হলেও কিছুটা দাম কম হওয়াতে ক্ষতির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি আলু ষ্টোর করে চরম লোকশান গুনতে হয়েছে ব্যবসায়দের। আগের সব দু:খ ভুলে এবছরও বিপুল পরিমাণ জমিতে নতুন করে আলু চাষ করেছেন শেরপুরের চাষিরা।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে শেরপুর উপজেলায় লক্ষমাত্রা ছিল ২ হাজার ৬২৫ হেক্টর। সেখানে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে ২ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আলু ক্ষেতে ভাইরাস নেই বলতে চলে। তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি কৃষককে। যেকারণে বাম্পার ফলনে চাষিরা অনেকটা আশাবাদী। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পোর্ষি, আমইন, পানিশারা, বৌ বাজার, দারুগ্রাম, খুরতা, দক্ষিন আমইন, তালতাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার মাঠজুড়ে যে দিকে চোখ যাবে সেদিকে শুধু দেখা যাবে আলুর ক্ষেত। গাছ ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আলুর ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছেন। তবে ক্ষেত থেকে আলু উত্তলনের সময় কাংক্ষিত দাম পাবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় আছেন আলু চাষিরা। 

পোষি গ্রামের হেলাল উদ্দিন জানান, এ বছর ১১ বিঘা জমি চাষ করেছি। আলু ক্ষেতের লক্ষণ দেখে ভালো মনে হচ্ছে। আর কিছুদিন গেলেই এসব জমি থেকে আলু তোলা হবে। ইতিমধ্যে আগাম জাতের কিছু কিছু জমির আলু বাজারে তোলা হয়েছে। দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন বাজারে আলুর দাম ভালো থাকলেও সামনে আলু তোলার উপযুক্ত সময়ে দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য ইতিমধ্যে আমরা আলু সংরক্ষণের জন্য উপজেলার কোল্ডস্টোরেজগুলোতে যোগাযোগ করছি। কিন্তু সেখানে ব্যবসায়ীরা আগেভাগেই বুকিং দেওয়ায় আমাদের মতো ছোট চাষিদের তেমন কোনো সুযোগ পাচ্ছিনা।

দক্ষিণ আমইন গ্রামের আলু চাষি আলহাজ¦ হারেজ জানান, আমি ৯০ বিঘা জমি চাষ করেছি। গাছ খুব ভালো হয়েছে। সব কিছুর দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে। এ বছর বেড়েছে সার, কীটনাশকের ও শ্রমের ব্যয়।

শেরপুর উপজেলার পানিসারা গ্রামের আলু চাষি ফজলু, আশরাফুল, মকবুল হোসেন বলেন, গতবছর শুরতে দাম ভালো পাওয়া গেলেও শেষের দিকে দাম কমে গিয়েছিল। তবে এ মৌসুমে আলু চাষের জন্য উপযুক্ত আবহাওয়া হওয়ায় ভালো ফলনের আশা করছেন তারা। ইতিমধ্যে উপজেলার কোল্ড স্টোরেজগুলোতে বড় বড় ব্যবসায়ীরা দখলে নেয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তারা অতীতের ন্যায় কৃষককে জিম্মি করে পানির দরে আলু কিনে কোল্ড স্টোরেজে মজুদ রাখার আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তারা আরোও বলেন, এক বিঘা জমিতে ১শ থেকে ১২০ মন আলু হয়। বর্তমানে আলুর দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। আলু যখন উঠানোর সময় হয় তখন আমরা দাম পায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেক্ষেত্রে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। এজন্য চাষকে লাভজনক করে তুলতে আলুর দাম বৃদ্ধি করার দাবি জানান তারা। 

শেরপুর উপজেলার কৃষি অফিসার ফারজানা আক্তার বলেন, কৃষি বিভাগের একান্ত প্রচেষ্টায় এবছর আলুর ক্ষেতকে রোগ বালাইমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে। উপজেলার কোথাও আলুর ফলন বিপর্যয় হয়নি। আশা করা যাচ্ছে সামনে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে আলুর বাম্পার ফলন হবে।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

এবার উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির!
বগুড়ায় পানি নিষ্কাশনে ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
বগুড়ায় দাম কমেছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের
বগুড়ার বিখ্যাত সাদা সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
গাবতলীতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
সারিয়াকান্দিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা পালিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু