বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নন্দীগ্রামে প্রথম মডেল মসজিদ পেয়ে আনন্দিত মুসল্লিরা

নন্দীগ্রামে প্রথম মডেল মসজিদ পেয়ে আনন্দিত মুসল্লিরা

বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌর শহরে অবস্থিত প্রথম মডেল মসজিদ পেয়ে আনন্দিত মুসল্লিরা। আধুনিক ও একসাথে এত লোক নামাজ আদায় করতে পারবে এজন্য এলাকার মুসল্লিরা আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। উদ্বোধনীর প্রথমদিন আগ্রহ-উদ্দীপনা নিয়ে তিন শতাধিক মুসল্লি বাদ যোহরের নামাজ আদায় করেছেন।

সোমবার (১৬) জানুয়ারি বেলা ১১ টার দিকে পৌর শহরের উপজেলা চত্বর এলাকায় নির্মিত এই প্রথম মডেল মসজিদ ও  ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, বগুড়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম শাহরিয়ার, ওসি আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও মেয়র আনিছুর রহমান, যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মুকুল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্ত, শ্রাবণী আকতার বানু, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, রেজাউল করিম, জিয়াউল হক, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তার হোসেন বকুল, সাধারন সম্পাদক এফ ফারুক কামাল প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসা মুসল্লি শফিউল আলম জানান, মডেল মসজিদটি দেখে মন জুড়িয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই নির্মাণ কাজ চলে আসছে। এখন কাজ শেষ দেখতে পাচ্ছি। খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি আজ এ মসজিদে নামাজ পড়তে পারবো।

নামাজ আদায় করতে আসা মুক্তার হোসেন, শাজাহান আলী, আইয়ুব আলীসহ কয়েকজন মুসল্লি জানান, এত সুন্দর নান্দনিক মসজিদ আমাদের এলাকায় নির্মাণ করেছে সরকার। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা এলাকাবাসী ধন্যবাদ জানাই। এতে করে উপজেলায় ইসলামের আরো প্রসার-প্রচারসহ কোরআন-হাদিসের সঠিক ব্যাখা জেনে মুসলমানরা উপকৃত হবে।

নামাজ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের জন্য বিশেষ মোনাজাতসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি কামনা করা হয়। আগত মুসল্লিদের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া দর্শনাথীরা এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি দেখার জন্য ছুটে আসছেন।

বগুড়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম শাহরিয়ার বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকারের গণপূর্ত অধিদপ্তর। নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ চত্বরে ৪০ শতাংশ জায়গার ওপর নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক তিনতলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ। এই মডেল মসজিদ ১২ কোটি ৫০ লাখ ৭২ হাজার টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। নব-নির্মিত এই মসজিদে একসঙ্গে ৯০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এখানে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্যও নামাজ এবং ওযুর পৃথক সুব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া মসজিদের মুসল্লিদের জন্য আরও সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এটা শুধু মসজিদ না, ইবাদতের পাশাপাশি একটি ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও। প্রথমতলা ১২ হাজার বর্গমিটার, মসজিদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ৭ হাজার ৮০০ বর্গমিটারে রয়েছে মূল নামাজ ঘর। এ ছাড়া মসজিদে রয়েছে ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ইসলামি বই বিক্রয় কেন্দ্র, অটিজম কর্নার, ইসলামি গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়াহ কার্যক্রম, ইসলামি লাইব্রেরি, হেফজ খানা, শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, দেশি-বিদেশিদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহের গোসল ও কাফনের সুব্যবস্থা, ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আবাসন। সেই সঙ্গে হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অফিসও রয়েছে এখানে।

নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিফা নুসরাত বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেছেন। ইতোমধ্যে মসজিদটিতে একজন ইমাম, একজন মোয়াজ্জিন ও দুইজন খাদেম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এই উপজেলার এটিই প্রথম আধুনিক সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।

দৈনিক বগুড়া