বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপাচার চালু

বগুড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপাচার চালু

বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার প্রায় ৩ লাখ ৮৩ হাজার মানুষের চিকিৎসা সেবার ভরসাস্থল হলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আগামি ১৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার শেরপুর-ধুনট নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান “অপারেশন থিয়েটার” টির শুভ উদ্বোধন করবেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের (ট্রমা সেন্টার)তৃতীয় তলায় ২ টি প্রি-অপারেটিভ বেড, ৩ টি পোস্ট-অপারেটিভ বেড সহ কয়েকটি কক্ষ নিয়ে অস্ত্রোপচার ইউনিট চালু করা হবে। ইতিমধ্যে অস্ত্রোপচার কক্ষের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে। অস্ত্রোপচার ইউনিটে একজন গাইনী অবস, একজন শল্য চিকিৎসক, একজন অবেদিনবিদ (অ্যানেসথেটিস্ট), একজন শিশু ডাক্তার থাকবে। এছাড়াও ইউনিটে থাকবে একাধিক সহকারী ডাক্তার, নার্স ও ওয়ার্ডবয়। এছাড়াও অপারেশন থিয়েটারে ১টি কার্ডিয়াক মনিটর, ২টি অটোক্লাভ মেশিন, ২টি ড্রাই এয়ার ওভেন, ১টি সাকার মেশিন, ১টি রুম হিটার, ১টি নেবুলাইজার মেশিন, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ডাইয়া থার্মি মেশিন ও এনেস্থেশিয়া মেশিন আছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, চলতি মাসেই হত দরিদ্র প্রসূতি মায়েদের জন্য অপারেশন থিয়েটারের উদ্বোধন করা হবে। অনেকেই ভয়ে হাপসাপালে নরমাল ডেলিভারি করায় না। তারা মনে করে এখানকার সেবার মান ভালো নয়। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল। শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খুব সুন্দরভাবে নরমাল ডেলিভারি করানো হয়। যদি কোন গর্ভবতির সন্তান প্রসবে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এখন থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই সিজারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। যাতে হতদরিদ্র পরিবারের বাড়তি টাকা নষ্ট না হয়। তাই সকল অন্তস্বত্তা মায়েদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেলিভারি করানোর জন্য আহবান জানাচ্ছি। এতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা হবে। তবে এখানে অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা প্রসূতি অস্ত্রোপচার সেবা পেলেও আমাদের জেনারেল সার্জন না থাকায় অন্যান্য অপারেশন করা সম্ভব হবে না।

এ ব্যাপারে শেরপুর-ধুনট নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্ত্রোপচার ব্যবস্থা চালু হলে প্রসূতি ও অন্যান্য চিকিৎসা সেবার জন্য টাকা খরচ করে জেলা শহর ও ক্লিনিকে যাওয়া লাগবে না। এখানেই ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়ে সরকারের ভাবমুর্তি উজ্জল করায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাজিদ হাসান সিদ্দিকী কে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

দৈনিক বগুড়া