বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নন্দীগ্রামের বাজারে এসেছে রসালো ফল তরমুজ, দামে ক্রেতাদের অসন্তোষ

নন্দীগ্রামের বাজারে এসেছে রসালো ফল তরমুজ, দামে ক্রেতাদের অসন্তোষ

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ। মৌসুমের শুরুতে এ ফল ক্রেতাদের আকর্ষণ করলেও দামের কারণে কিনতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে অনেকে। সাধ্যের মধ্যে না থাকায় কেউ কেউ তরমুজ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে। 

তরমুজ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন নন্দীগ্রামের হাট-বাজারে যেসব তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো বরিশাল ও ভোলা থেকে আনা হয়েছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। এখন বাজারে সবুজ রঙের তরমুজের তুলনায় কালো রঙের তরমুজ বেশি রয়েছে। বিক্রেতারা বলছে কালো এ তরমুজের ভেতরটা টকটকে লাল এবং খেতে দারুণ মিষ্টি।

নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকার তরমুজ বিক্রেতা বিপুল প্রামাণিম বলেন, সব জিনিসের দাম বেশি। তরমুজের দামও বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার দাম কম। এখন বাজারে তরমুজ নতুন আসিছে। মাল আমদানি বেশি হলেই দাম কমে যাবে। আমরা যে তরমুজ বেচিচ্ছি সেগুলো বরিশাল ও ভোলা থেকে আনা। তরমুজ ৫০ টেকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেনাবেচা কম।তরমুজ কিনতে আসা আলামিন হোসেন বলেন, একটা বড় আকারের তরমুজ কিনতে গেলে ৪০০-৫০০ টাকা লাগবে। একজন নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে তরমুজ কেনা খুব কঠিন। তরমুজ ২০-২৫ টাকা কেজি হলে ভালো হতো।তরমুজ কিনতে আসা অটোভ্যান চালক মহসিন আলী বলেন, বাড়িতে ছয়জন মানুষ। একটা বড় তরমুজ কিনতে গেলে ৫০০ টেকা লাগবি। একদিনের কামাই তরমুজ কিনতেই শেষ। এজন্য তরমুজ না কিনেই যাচ্ছি। দাম কমলে কিনমুনি।

দৈনিক বগুড়া