বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ধুনটে বোরো ধানে ৩০০ কোটি টাকার চাল উৎপাদনের আশা

ধুনটে বোরো ধানে ৩০০ কোটি টাকার চাল উৎপাদনের আশা

ধুনট উপজেলায় গেল আমন মৌসুমে ধানের আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় এবার বোরো ধানে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান কৃষকেরা। এ কারণে এ অঞ্চলের চাষিরা এখন বোরো ধানের চারা রোপণের সাথে বুনেছেন নতুন স্বপ্ন। প্রকৃতি সহায়ক হলে এ বছর বোরো উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর বেড়েছে ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম। আরও বেড়েছে সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি। এতে বোরো ধান চাষে খরচ বাড়ছে। তারপরও প্রান্তিক চাষিরা বোরো ধানকে ঘিরে এবার আশায় বুক বেঁধেছেন। আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পারা প্রান্তিক কৃষক পরিবারগুলোর বেশির ভাগই ধার-দেনা নিয়ে বোরো ধানের উৎপাদনে কোমর বেঁধেছেন। নানান প্রতিকূলতা মাড়িয়ে চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষে ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের চাল উৎপাদনের আশা করছেন তারা।

কৃষকেরা বলছেন, এবার বোরো চাষে খরচ বাড়ছে। কিন্ত মৌসুম শেষে ধানের বাড়তি দাম না পেলে তাদের উৎপাদন খরচ উঠবে না। তাই সরকারি সংগ্রহ অভিযানে ধান-চালের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বোরো ধানের ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দাম নিয়ে শঙ্কা কাটছে না কৃষকদের। নানান কারণে ধান উৎপাদনে খরচ বাড়লেও বিক্রয়ে মিলছে না আশানুরূপ দাম।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরো বীজতলায় তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। এ কারণে আগাম সরিষা তুলে এবার বোরো ধানের রোপণ করছি। ধুনট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, এ উপজেলাতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বোরো ধান রোপণের জন্য কৃষকদের লাইন, লোগো, পার্চিং ও সুষম সার প্রয়োগসহ নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

আশা করা হচ্ছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরোর বাম্পার ফলন হবে। এ উপজেলায় ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬৬ হাজার মেট্রিক টন চাল। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।

দৈনিক বগুড়া