বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় নতুন অর্থনৈতিক ফসল কাসাভার চাষ

বগুড়ায় নতুন অর্থনৈতিক ফসল কাসাভার চাষ

বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় কাসাবা চাষ। কাসাভা নতুন কোনো ফসল নয়। বাংলাদেশে কাসাভা শিমুল আলু নামে পরিচিত। কেউ কেউ আবার একে কাঠ আলু বলেও জানে। ময়মনসিংহ,টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক আগে থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে কাসাভার চাষাবাদ হয়ে আসছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে ফিলিপাইন থেকে আগত দুটি জাতের কাসাভা চাষ হতে দেখা গেছে, যার একটি লাল; অপরটি সাদাটে।কাসাভার বংশবিস্তার সাধারণত স্ট্যাম কাটিংয়ের মাধ্যমে করা হয়। এর চারা রোপণের ৬ মাস পর থেকে টিউবার সংগ্রহ করা যায় এবং খুব সীমিত পরিচর্যায় সঠিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের মাধ্যমে হেক্টরপ্রতি ২০-২৫ টন কাসাভা উৎপাদন সম্ভব। খাদ্য হিসাবে কাসাভার পরিষ্কার টিউবার সরাসরি বা সিদ্ধ করে, এমন কী কাঁচাও খাওয়া যায়।

জানা গিয়েছে কাসাভায় বিদ্যমান ফাইবার দৈহিক ওজন ও দৈনন্দিন খাদ্যগ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস এবং স্থূল কমায়। এটি থেকে খুব সহজে ও কম খরচে খাদ্য উপাদান স্টার্চ পাওয়া সম্ভব, যা খাদ্য শিল্পসহ অন্যান্য শিল্পের সহজলভ্য কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। এর ফাইবার খাদ্যের মাধ্যমে গ্রহণ করলে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণসহ নানাবিধ উপকার পাওয়া যেতে পারে।

উচ্চ শর্করাসমৃদ্ধ কন্দ জাতীয় ফসল কাসাভা থেকে যে উন্নতমানের স্টার্চ পাওয়া যায়; তা দিয়ে গ্লুকোজ, বার্লি, সুজি, রুটি, নুডলস, ক্র্যাকার্স, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, পাঁপড়, চিপসসহ নানাবিধ খাদ্য তৈরি করা যায়।

এ ছাড়াও বস্ত্র এবং ওষুধ শিল্পে ব্যাপকভাবে কাসাভার স্টার্চ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কাসাভা চাষে নেই কোনো ঝামেলা; পাওয়া যায় অল্প পরিশ্রমে অধিক ফসল। দেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় কাসাভা হয়ে উঠতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। এ বিষয়ে জানতে গেলে সারিয়াকান্দী কৃষি অফিসার বলে ব্যস্ততার কারণে সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না।

দৈনিক বগুড়া