শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সোনাতলায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঙালি নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ

সোনাতলায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঙালি নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ

বগুড়ার সোনাতলায় বাঙালি নদীর ওপর ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ফলে ৫ উপজেলার ১৫ লাখ মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা হয়েছে। এছাড়াও আরও ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজের দু’পাশে এ্যাপ্রোজ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।

ব্রিজটিতে রাতে দুর্ঘটনা ও ছিনতাইরোধে রোডলাইট স্থাপন করা হয়েছে। ব্রিজটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হলেও এলাকাবাসীদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে ব্রিজটি খুলে দেওয়া হয়েছে। ১৯৯১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ মধুপুর এলাকায় বাঙালি নদীর ওপর ৩০৩ মিটার বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে।

ব্রিজটি প্রশস্ত মাত্র সাড়ে ৭ ফুট থাকায় এক পাশে যাত্রীবাহী পরিবহন উঠলে ব্রিজের আরেক পাশে যাত্রীবাহী পরিবহনকে অপেক্ষা করতে হতো। এভাবে ব্রিজ স্থাপনের ৩০ বছর পূর্ব বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, গাবতলী, শিবগঞ্জ ও গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হতো। ফলে এলাকাবাসী ওই নদীর ওপর আরসিসি গার্ডার ব্রিজ স্থাপনের দাবি তোলেন।

এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান আরসিসি গার্ডার ব্রিজ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দেন। অবশেষে ২০২২ সালের প্রথম দিকে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঙালি নদীর ওপর আরসিসি গার্ডার ব্রিজ স্থাপনের কাজ শুরু করে দেয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

দীর্ঘ প্রায় ১ বছর কাজ করার পর ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এলাকাবাসীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্রিজটি যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়। বর্তমানে ব্রিজের ওপর দিয়ে ওই ৫ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বলেন, বর্তমানে এ উপজেলায় আরও ৯টি ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ব্রিজগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে সোনাতলাবাসীর জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, কালের বিবর্তনে এবং মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ব্রিজটি আরসিসি গার্ডার ব্রিজে রূপান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে ব্রিজটি প্রশস্ত বেড়ে প্রায় ৩২ ফুট হয়েছে। ফলে একই সাথে দুটি পরিবহন অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে।

দৈনিক বগুড়া