শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে

বগুড়ায় নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে

বর্ষা মৌসুমের আগেই যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। বগুড়ার যমুনা নদীর দু’কূল পানিতে ভরে যাবে। নদী পারাপারে নৌকায় হবে একমাত্র ভরসা। বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে যমুনা নদীর পাড়ে নতুন নৌকা তৈরি করতে ও পুরাতন নৌকা মেরামত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার মাঝিরা। নৌকার কারিগরদেরও পড়েছে হাঁকডাক। যমুনা নদীর দুই পাড় মিলিয়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে। এসব যাত্রী পারাপারে নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে যমুনা পাড়ে।

 

জানা যায়, বগুড়া জেলার যমুনা, বাঙালি, করতোয়া, ইছামতী, নাগর প্রভৃতি নদী দিয়ে ঘেরা। বন্যার সময় এসব নদীর অববাহিকায় বসবাসরত এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য একমাত্র যানবাহন হয়ে ওঠে নৌকা। বিশেষ করে যমুনার চরাঞ্চলের লোকজনের বন্যায় প্রধান বাহন হলো নৌকা। যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আসন্ন বন্যার আশংকায় চরবাসী এখন নতুন নৌকা তৈরি এবং পুরাতন নৌকা মেরামত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেড়েছে কারিগরদের কদর।

বগুড়া সারিয়াকান্দির পৌর এলাকার গার্লস স্কুল মোড়, পারতিত পরল নৌঘাট, কালিতলা নৌঘাট, মথুরাপাড়া নৌঘাট, রৌহদহ নৌঘাট, চারালকান্দি নৌঘাট, শাহানবান্ধা নৌঘাট, ডাকাতমারা নৌঘাট, জামথল নৌঘাট, চরদলিকা নৌঘাট, মানিকদাইড় নৌঘাট, শংকরপুর নৌঘাট প্রভৃতি নৌঘাটগুলোতে এখন নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। কারিগররা পুরাতন নৌকা ঘাটে নিয়ে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে মেরামত করছেন। আর নতুন নৌকা তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি যমুনা নদীর একেকটি ঘাট থেকে কমপক্ষে ৩০টি করে নৌকা চলাচল করে। এই নৌকাগুলোর মধ্যে পুরাতন ও নতুন নৌকা রয়েছে। সারয়িাকান্দি উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত নৌঘাট রয়েছে। আর প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে। নদীতে এখন পানি বৃদ্ধির কারণে নিয়মিত নৌকা চলাচল করছে।

নিচ বটিয়া চরের নৌকার মাঝি লিখন মিয়া জানান, যমুনায় ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বর্ষা মৌসুম এলে নদীতে বন্যা দেখা দেয়। আর সে সময় নৌকার চাহিদা দিগুণ হয়। প্রতি বছর শতাধিক নৌকা মেরামত হয়, আবার শতাধিক নৌকা নতুন করে তৈরি হয়ে থাকে। নতুন তৈরি নৌকা দিয়ে বেশিরভাগই যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে। তাই পুরাতন নৌকা মেরামত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আবার নতুন নৌকা তৈরির কাজও চলছে।

নতুন তৈরি নৌকা দিন হাজিরায় আবার কেউ কেউ চুক্তিতে কাজ করে নেয়। নৌকার কারিগরদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, একসময় ডিঙ্গি নৌকা বেশি ব্যবহার হতো। এখন মানুষের প্রয়োজনে বড়বড় নৌকা তৈরি হচ্ছে। এখন আর নাম থাকে না নৌকার। নৌকা তৈরিতে বিশেষ কোনো কাঠ ব্যবহার হয় না। তবে সাধারণত নৌকার ক্ষেত্রে কড়ই, হিজল, মেহগনি কাঠ বেশি ব্যবহার হয়। কেউ কেউ ছোট নৌকা তৈরির ক্ষেত্রে কাঁঠাল গাছের কাঠও ব্যবহার করে থাকে। নৌকা তৈরিতে আলকাতরা, তারকাটা, গজাল, পাতাম ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই