শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কম্বাইন্ড হারভেস্টারে ধানকাটায় স্বস্তিতে বগুড়ার কৃষকরা

কম্বাইন্ড হারভেস্টারে ধানকাটায় স্বস্তিতে বগুড়ার কৃষকরা

জেলার শাজাহানপুরে বোরোর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক। যান্ত্রিক  যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের কৃষি। জমিতে হাল দেয়া, চারা রোপণ, ধান কর্তন চলেছে আধুনিক পদ্ধতিতে। শ্রমিক সংকট মেকাবিলায় হারভেস্টার মেশিন স্বস্তি মিলেছে কৃষকদের। আধুনিক এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে একইসঙ্গে চলছে ধান মাড়াই ও বস্তাবন্দির কাজ। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবার রহমান জানান, এবছর জেলায় ১৬৬টি হারভেস্টার মেশিন ধান কাটার কাজে নিয়োজত ছিল।  হারভেস্টার মেশিনে সরকার ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকতে মধ্যে বিক্রি করে থাকে। কৃষককে দিতে হবে প্রকৃত মুল্যেও অর্ধেক আর অর্ধেক দেবে সরকার। একটি হারভেস্টার মেশিন ঘন্টায়  তিন বিঘা জমির ধান কাটা, মাড়াই করতে পারে।  হারভেস্টার মেশিন পেয়ে খুশি কৃষকরা।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা চাংগুইর মাঠে কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নুসহ কৃষি কর্মকর্তারা। উপজেলা কৃষি অফিসার আমিনা খাতুনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি এম সুলতান আহম্মেদ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেফাজত আরা মিরা, আশেকপুর ইউপি চেয়ারম্যান হয়রত আলী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফারহানা আফরোজসহ সব ইউপি সদস্য,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।

চাংগুইর গ্রামের আবু রায়হান নামে এক কৃষক জানান  কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন দিয়ে আমরা ১ দিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তুলতে পারছি। আগে তো শ্রমিক দিয়ে কাটতে হতো। এখন তা যন্ত্রের মাধ্যমে সহজ হয়ে উঠেছে। আশেকপুর এলাকার কৃষক হায়দার আলী বলেন,কয়েক বছর ধরে ধান কাটাতে শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি ঘুরছি। জমিতে একটু কাঁদা থাকাই বেশি টাকা দিতে চাইলেও তারা রাজি হতো না। আজ সরকারের সহযোগিতায় মেশিন সাহায্য ধান কেটে বস্তাবন্দি করে দিলো। এতে শ্রমিকদের থেকে আমার ৩ হাজার টাকা কম লাগলো।

একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ২০০ জন শ্রমিকের কাজ করতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসার আমিনা খাতুন। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় এবছর ১৩ হাজার ৫০০ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দৈনিক বগুড়া