শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাহালুতে পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্রের আশ্বাসে খুশি শিল্পীরা

কাহালুতে পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্রের আশ্বাসে খুশি শিল্পীরা

বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর আহবানে বগুড়ার কাহালু বেতার কেন্দ্রে পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নাসরুল্লাহ মোঃ ইরফান। শুক্রবার দুপুরে তিনি এই বেতার কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, শিল্পী, সাংবাদিক ও কলাকুশলীদের দাবি শুনে পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্র করার বিষয়ে আশ্বাস দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনু, বাংলাদেশ বেতারের প্রধান প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহিদুর রহমান, কাহালু বেতার কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী মঈনুল হক, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না, কাহালু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক  আলহাজ্ব মোঃ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, বগুড়া জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকীসহ রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় শিল্পীরা।

বেতার কেন্দ্রটি পরিদর্শনের সময় স্থানীয় শিল্পীরা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কাহালুতে পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্রের জন্য জোড়ালো দাবী জানান। তাদের দাবীর মুখে বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নাসরুল্লাহ মোঃ ইরফান সকল আশ্বাস দেন এখানে পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্রে করার। পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্রের বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয় ও সচিবালয়ে যোগাযোগের জন্য বগুড়া সদর আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুর সহযোগীতা চান। মহাপরিচালকের আশ্বাসের পর উপস্থিত শিল্পী ও নাট্যকর্মীরা মহাখুশি হন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রমতে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে কাহালু উপজেলার দরগাহাটে ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বেতার কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রের ফ্রিকোয়েন্সি ৮৪৬ কিলোহার্জ এবং তরঙ্গ দৈর্ঘ ৩৫৪ দশমিক ৬০ মিটার। ১৯৮৭ সালে ২৫ একর জায়গার উপর ৮ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার টাকা ব্যায়ে এই বেতার কেন্দ্রটি নির্মিত হয়। বেতার কেন্দ্রটি নির্মাণের পর থেকে রাজশাহী বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানগুলো রিলো করে এখান থেকে সম্প্রচার করা হয়। এখানে রয়েছে শুধুমাত্র প্রকৌশল শাখা।

নিজস্ব অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য এখানে বর্তমানে প্রয়োজন প্রশাসনিক শাখা ও নিজস্ব অনুষ্ঠান রেকর্ডিংয়ের জন্য স্টুডিও। স্থানীয় শিল্পীদের মতে এই বেতার কেন্দ্রের অনেক জায়গা রয়েছে, এখানে প্রশাসনিক শাখা ও স্টুডিও নির্মাণ করলেও নতুন কোন জায়গা অধিগ্রহনের প্রয়োজন হবেনা। শুধুমাত্র প্রশাসনিক শাখা ও স্টুডিও নির্মাণ করলেই এই বেতার কেন্দ্র পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্র করা সম্ভব। 

নিজস্ব অনুষ্ঠান সম্প্রচারের জন্য পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্রের দাবী জানিয়ে আসছেন এই অঞ্চলের শিল্পী, নাট্যকর্মী, সাংবাদিক, সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে। পূর্ণাঙ্গ বেতার কেন্দ্রের জন্য প্রতিনিয়ত এই জনপদে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের বিভিন্ন ইউনিট, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠন। 

দৈনিক বগুড়া