শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১

শিক্ষা স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রায় বদলে যাওয়া জনপদ আদমদীঘি-দুঁপচাচিয়া

ধাপের হাটের বিখ্যাত গরুর মাংসের কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই। দেশের খ্যাতনামা এই মাংস ভুনা খেতে হলে চলে আসতে হবে বগুড়ার দুপচাচিয়াতে। দুপচাঁচিয়া বাংলাদেশের বগুড়া জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা; যেটি পূর্বে "ধুপচাঁচিয়া" নামে পরিচিত ছিল। বগুড়া সদর থেকে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার।

এর মোট আয়তন ১৬২.৪৫ বর্গ কিলোমিটার। আদম-এর দিঘি হতে আদমদিঘী নামের সূচনা হয়েছে। আদমদিঘী থানার পাশে আদম বাবা নামে এক সূফী সাধকের মাজার আছে এবং সে মাজারের উত্তরপার্শ্বে আছে একটি বড় পুকুর, যাকে আদম বাবার দিঘি বলা হয়। কথিত আছে যে, নাটোরের রাণী ভবানী বাবা আদমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ পুকুরটি খনন করেন। বগুড়ার আর সব উপজেলার মতই দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি  উপজেলা আধুনিক উপজেলায় পরিণত হয়েছে গত ১৫ বছরে। দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি’র প্রতিটি স্থানে দেখা মিলবে দৃশ্যমান উন্নয়নের।

শিক্ষা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সফলতা অর্জন করেছে দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি উপজেলা। শিক্ষার প্রসারে নির্মাণ করা হয়েছে তালুচ পাঁচপীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কারিগরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,  সাহারপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,  শহীদ সিরাজ খান মেমোরিয়াল একাডেমি, জিয়ানগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,

আদমদীঘিতে নির্মিত হয়েছে সান্তাহার ৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎ কেন্দ্র, যা সরবরাহ হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। এছাড়াও উন্নয়নের তালিকায় যোগ হয়েছে, সান্তাহার সি এস ডির নবনির্মিত আনসার ব্যারাক, সান্তাহার কেন্দ্রিয় খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ, সান্তাহার সরকারি কলেজ, দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের শিশু পার্ক।এছাড়া উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে দুপচাঁচিয়া পৌরসভার।

এতো এতো উন্নয়নে পাল্টে গেছে দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি’র পুরো চেহারা। আর এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে।

সর্বশেষ: