সংগৃহীত
বগুড়ার নন্দীগ্রামে আউশ ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছে কৃষকেরা। এ বছর মৌসুমজুড়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ কম ছিল। এবার আউশ ধানের ভালো ফলন ও দামে খুশি চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে ২ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। উপজেলার বেশির ভাগ চাষি বিনা-১৯, ৭, ব্রি-৪৮. ৯৮ ও পারি জাতের ধান চাষ করেছেন। এবার উপজেলায় আউশ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস হতে ২ হাজার ১৩০ জন কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এখন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছে কৃষকেরা। বৃষ্টিতে ভিজে ধান যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য অনেক কৃষক খেতের পাশের উঁচু জায়গায় ধান মাড়াইয়ের কাজ করছেন।
উপজেলার আমগুচি গ্রামের কৃষক ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমার ২২ বিঘা জমিতে পারি ধান আছে। ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলন বিঘায় ১৪-১৫ মণ। ধান বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১০৫০ টাকায়। বিঘায় ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এতে লাভও কিছু হচ্ছে আবার এই ধান কেটে ৩৪ ধান লাগানোর জন্য উপযুক্ত সময়ও হয়েছে।
হাটলাল গ্রামের কৃষক মিনহাজুর রহমান হাবিব বলেন, আমাদের এলাকায় ধানের ফলন ১৬-১৮ মণ হচ্ছে। দামও ভালোই আছে। এই আবাদটি কৃষকের জন্য একটা বাড়তি আয়। খরচ বাদ দিয়ে বিঘায় ৭-৮ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, কৃষি অফিস থেকে আউশ চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়েছে। ধানের ফলনও ভালো। আউশ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস হতে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।