সংগৃহীত
বিএনপি-জামায়াতের অবৈধ অবরোধ কর্মসূচি এদেশের জনগণ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসনভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি-জামায়াতের পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে এ অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ সাইদ খোকন। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, গত এক মাস ধরে একটা অবৈধ দলের অবৈধ কর্মসূচি চলছে। দেখা যাচ্ছে- তারা একদিকে অবৈধ অবরোধ দিচ্ছে; অন্যদিকে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বোঝা যায় তাদের অবৈধ অবরোধ কর্মসূচি এদেশের জনগণ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, আমার একটি প্রশ্ন, এই হরতাল বা অবরোধের মানেটা কী? এই কর্মসূচির মাধ্যমে আসলেই কি সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব? এটা কি কোনো প্রতিবাদের প্রতীকী ভাষা? তাহলে জনগণের সম্পৃক্ততা কোথায়? জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া এই কর্মসূচি অর্থহীন। আর যদি তারা সরকারের পতনই না ঘটাতে পারে তাহলে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে লাভ কী? এ ধরনের প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যেও সৃষ্টি হয়েছে।
পরশ বলেন, বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল করা। যে কোনোভাবে সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি অনির্বাচিত সরকারকে গদিতে বসানো। আমাদের যুবলীগের নেতাকর্মীদের জন্য তাদের এ দুই উদ্দেশ্য সফল হয়নি।। এসব অপশক্তি যারা দেশবিরোধী, যারা এদেশের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না, যারা এখনো পাকিস্তানি ভাবধারার বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চায়, যারা মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক, যারা আমাদের সনাতন ভাইবোনদের ওপর অত্যাচার করেছে এবং করার সুযোগ খোঁজে, তাদের যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিহত করেছেন। আপনাদের কারণেই এই দেশবিরোধী অপশক্তি ইঁদুরের গর্তে ঢুকে গেছে। এই গর্ত থেকে বের হয়ে তারা দু-একটি বাসে আগুন দিচ্ছে, ককটেল মারছে।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ
