বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উসিলা দিয়ে দোয়া করা জায়েজ কিনা, কোরআন-হাদিস যা বলে

উসিলা দিয়ে দোয়া করা জায়েজ কিনা, কোরআন-হাদিস যা বলে

অনেক সময় আমরা দোয়া করার সময় উসিলা মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করি। যেমন ধরুন যদি বলা হয়- ‘হে আল্লাহ! বড় পীরের উসিলায় আমার দোয়া কবুল করুন। অথবা বলা হয় নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) এর উসিলায় আমার দোয়া কবুল করুন।

নবী-ওলীদের উসিলা দিয়ে দোয়া করা শরীয়তে জাযেজ আছে। এতে কোনো অসুবিধা নেই। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর উসিলা দিয়ে দোয়া করা বৈধ ও উত্তম কাজ। এমনিভাবে সাহাবা-তাবেয়ীসহ আল্লাহওয়ালা ব্যক্তিদের উসিলা দিয়েও দোয়া করা বৈধ।

তবে উসিলার দুটি অর্থ রয়েছে- 
১. সরাসরি মাধ্যম গ্রহন। (আল্লাহর দরবারে দোয়া গৃহিত হওয়ার জন্য গাইরুল্লাহকে আল্লাহর সহকারী মনে করে তাদের কাছে সাহায্য ও সুপারিশ চাওয়া এবং তাদের কারো কাছে আশা পূরণের আবেদন করা, আল্লাহ ও নিজের মাঝে মধ্যস্থতাকারী মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করা যেমনটা কাফেররা তাদের দেবতাদের ক্ষেত্রে গ্রহন করতো)

২. বরকতময় সত্ত্বা ও গুনের দোহাই দেয়া। প্রথম অর্থে উসিলা গ্রহন সর্বসম্মতিক্রমে অবৈধ। আমাদের ফকীহ মুজতাহিদরা ওই মাসআলাটা মূলত ‘ইস্তিগাছা’ শিরোনামের অধীনে আলোচনা করেছেন।

দ্বিতীয় অর্থে উসিলা বৈধ। কারন তখন ‘হে আল্লাহ, রাসুলের উসিলায়/আউলিয়াদের উসিলায় আপনি আমাদের কবুল করে নিন’ বলার অর্থ হচ্ছে, ‘হে আল্লাহ, রাসূল (সা.) আপনার প্রিয় এবং আমরা আপনার সেই প্রিয়জনকে ভালোবাসি। আপনার প্রিয়জনও আমাদেরকে ভালোবাসতেন। আপনার প্রিয়জনের প্রিয়জন হিসেবে, অনুগত উম্মত হিসেবে আমাদের ওপরে রহম করুন, আমাদের দোয়া কবুল করুন।

আমরা আপনার অনুগত ও প্রিয় বান্দা হিসেবে আপনার ওলীদেরকে ভালোবাসি। আপনার প্রিয় বান্দাদের প্রতি এই ভালোবাসার উসিলায় আপনি আমাদের দোয়া কবুল করুন।’

কারণ এই সুরাতে (অর্থাৎ দ্বিতীয় অর্থে) গাইরুল্লাহের সাহায্য নেয়া হচ্ছেনা বরং হুব্বে রাসূলের/হুব্বে আউলিয়ার দোহাই দেয়া হচ্ছে। সহীহ হাদিসের আলোকে হুব্বু ফিল্লাহ হিসেবে যা মূলত ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। আর ইবাদতের দোহাই দিয়ে দোয়া করা বুখারীর হাদিসের আলোকে বৈধ! 

একবার হযরত ওমর ফারুক (রা.) দুর্ভিক্ষের সময় হযরত আব্বাস (রা.)-এর উসিলা দিয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেছিলেন। (খাইরুল ফাতাওয়া, ১৯৭) 

হজরত উমাইয়া (রা.) থেকে বর্ণিত যে, হুজুর (সা.) নিজে ফকির ও মুহাজিরদের উসিলা দিয়ে যুদ্ধে জয়লাভ করার জন্য দোয়া করেছেন। 

এছাড়া আরো অনেক হাদিস দ্বারাও উসিলা দেওয়ার কথা প্রমাণিত আছে। (মিশকাত শরীফ, ৪৩৯, খাইরুল ফাতাওয়া ১; ১৯৩, আবু দাউদ শরীফ, ৪৩৯) 

তবে বর্তমান ফিতনা-ফাসাদের যুগে মানুষদের মধ্যে আকিদার জ্ঞান না থাকায় অনেকে এমন এমন কথা বলে, যাতে ঈমান চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেক পীর-বুজুর্গকে সমস্যা সমাধানকারী বিশ্বাস করে। তাদের কাছে প্রার্থনা করে অনেকে বহক্কে আব্দুল কাদির জিলানী, বহকে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী বলে দোয়া করে থাকে। অথচ এভাবে দোয়া করা নিষেধ। (তারিখে খতীব- ১; ২৩)

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

এবার উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির!
বগুড়ায় পানি নিষ্কাশনে ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
বগুড়ায় দাম কমেছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের
বগুড়ার বিখ্যাত সাদা সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
গাবতলীতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
সারিয়াকান্দিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা পালিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু