বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হেরার আকাশে জ্বলছে ‘কোরআনের প্রথম আয়াত’

হেরার আকাশে জ্বলছে ‘কোরআনের প্রথম আয়াত’

সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কার হেরা পর্বতে লেজার লাইটের মাধ্যমে স্থাপন করা হয়েছে পৃৃথিবীতে নাজিল হওয়া কোরআনের প্রথম আয়াত (ইক্বরা বিইসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক্ব)। হেরা পর্বতের গুহায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর ওপর প্রথম এই আয়াতটি নাজিল হয়েছিল।

আয়াতটি জাবাল আল-নূরের উপর পবিত্র কাবা শরিফ থেকে ৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং হেরা গুহায় বরাবর স্থাপন করা হয়েছে। এখানেই রাসুল (স.) প্রথম ওহি পেয়েছিলেন।

মক্কা ইতিহাস কেন্দ্রের পরিচালক ড. ফাওয়াজ আল-দাহাস বলেছেন, ‘সাধারণভাবে মুসলমানদের কাছে জাবাল আল-নূরের একটি ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে এবং এটি মক্কার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।’

তিনে বলেন, ‘ইতিহাসে এটি হেরা পর্বত হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে পবিত্র কোরআনের প্রথম আয়াত নাজিলের পরে সারা পৃথিবীতে যে আলো বিচ্ছুরিত হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এর নামকরণ করা হয়েছে জাবাল আল-নূর (আলোর পর্বত)।’

আল-দাহাস বলেছেন, ‘মক্কাকে বিশ্বের অন্যান্য শহর থেকে যেটি আলাদা করে তা হলো- এটি একটি উন্মুক্ত জাদুঘর। এর সমস্ত পর্বত, উপত্যকা, পাথর এবং কবরস্থানগুলো একটি অনন্য ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করে, যা নবী এবং তার সম্মানিত সঙ্গীদের অমর গল্প বলে।’

জাবাল আল-নূরের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল-আজহারী বলেন, ‘জাবাল আল-নূরে লেজার লাইটে পবিত্র কোরআনের প্রথম নাজিলকৃত আয়াতটি একটি আধ্যাত্মিক মাত্রা দিয়েছে, প্রতিপত্তি ও শ্রদ্ধা যোগ করেছে।’

সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০ এর লক্ষ্য হলো দর্শনার্থীদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করা, বিশেষ করে মুসলিমদের জন্য ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহনকারী স্থানগুলোতে।

লেজার ডিসপ্লেটি স্থাপন করেছে সাময়া ইনভেস্টমেন্ট কোং। তারা মক্কায় দুটি সাংস্কৃতিক প্রকল্পও তৈরি করছে, সেগুলো হলো- জাবাল আল-নূরে মিউজিয়াম অফ রিভেলেশন এবং মিউজিয়াম অফ মাইগ্রেশন।

সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোর লক্ষ্য হল প্রাক-ইসলামী যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত উপস্থাপনার মাধ্যমে দর্শকদের নবী (স.)-এর মিশনের ইতিহাস এবং উত্তরাধিকারের সঙ্গে পরিচিত করা।

সূত্র: আরব নিউজ

দৈনিক বগুড়া