মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পানি গোঁফে লাগলে কি হারাম হয়ে যায়?

পানি গোঁফে লাগলে কি হারাম হয়ে যায়?

সাধারণ মানুষের মাঝে গোঁফ রাখার প্রচলন রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে গোঁফ রাখা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে গোঁফ বড় করে রাখা বা গোঁফ লম্বা রাখা সুন্নতবিরোধী কাজ। কেননা রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা দাড়ি লম্বা করো, মোচ খাটো করো।’ (সহিহ বুখারি: ৫৮৯৩)

এমনকি কোনো হাদিসে মোচ ছোট না করলে কঠিন হুঁশিয়ারির কথাও এসেছে। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার মোচ ছাঁটে না, সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (তিরমিজি: ২৭৬২, সহিহুল জামে: ৬৫৩৩)

এই হাদিসগুলো থেকে কিছু মানুষ ধারণা করে থাকেন যে পানি পান করতে গিয়ে যদি গোঁফে পানি লেগে যায়, ওই পানি পান করা হারাম বা নাপাক হয়ে যায়। এই ধারণা একেবারেই অমূলক। মোচ তো নাপাক কিছু নয়। তাই হাদিসে দাড়ি লম্বা করা ও মোচকে খাটো করার কথায় পানি হারাম হওয়া প্রমাণিত হয় না। বরং দুটি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।

উল্লেখ্য, (ব্লেড বা ক্ষুর দিয়ে) গোঁফ চাঁছা সুন্নত নয়। বরং সুন্নত হলো- ছেঁটে ছোট করা। কিছু চেঁছে এবং মাঝে বা উপরে সরু করে গোঁফ ছেড়ে রাখাও সুন্নত নয়। আবার, মাঝখান কামিয়ে দুই সাইডে লম্বা মোচ রাখাও বৈধ নয়। যেহেতু তাতে বিজাতির সাদৃশ্য রয়েছে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেক বিষয়ে সুন্নত অনুসরণের তাওফিক দান করুন। সুন্নতবিরোধী কথা প্রচার ও আমল করা থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

দৈনিক বগুড়া