আরেকটি বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হলো বিশ্ববাসী। ৫৮০ বছর পর আজ এমন দীর্ঘ মেয়াদে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেল। যা নিয়ে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মানুষের আগ্রহের কমতি ছিল না।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ১৯ মিনিটে শুরু হয় আংশিক গ্রহণ, শেষ হয় ৪টা ৪৭ মিনিটে। তবে পিনামব্রাল পর্যায়ের গ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিট পর্যন্ত। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেখা গেছে এই দৃশ্য।
জ্যোতির্বিদরা জানিয়েছেন, শুক্রবার ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড স্থায়ী হয় এই চন্দ্রগ্রহণ। যা ২০০১ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে হতে যাওয়া সব চন্দ্রগ্রহণের মধ্যে দীর্ঘতম।
চন্দ্রগ্রহণ। ছবি: স্পেস ডট কম
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার মূল গ্রহণ উত্তর আমেরিকার দেশগুলো থেকে সবচেয়ে ভালো দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব এশিয়া, উত্তর ইউরোপ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও তা দৃশ্যমান হয়।
চন্দ্রগ্রহণের সময় যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। ফলে পৃথিবী থেকে মনে হয় চাঁদ ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে। চন্দ্রগ্রহণ প্রায় ঘণ্টাকালীন স্থায়ী হয় কারণ চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়া অতিক্রম করে।
চন্দ্রগ্রহণ। ছবি: স্পেস ডট কম
গ্রহণ চলাকালীন চাঁদকে অনেকটা তামাটে বা লালচে চাকতির মতো মনে হবে। এর কারণ হলো সূর্যের কিছু আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে বিকরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে। অন্যান্য রং বিচ্ছুরিত হলেও লাল রং তুলনামূলকভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে প্রতিসরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে, এই কারণে গ্রহণের চাঁদকে লাল দেখায়।
দৈনিক বগুড়া