বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তাহলে কি কোহলিই মিথ্যা বলেছেন?

তাহলে কি কোহলিই মিথ্যা বলেছেন?

ভারতের অধিনায়কত্ব গত দেড়-দুই মাসে কম জল ঘোলা হয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বিরাট কোহলি ঘোষণা দেন, বিশ্বকাপ শেষে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে আর ভারতের অধিনায়কত্ব করবেন না তিনি। তবে ওয়ানডে ও টেস্টে নেতৃত্ব চালিয়ে নিতে চান তিনি।

বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভ থেকেই বিদায় নেয় কোহলি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে ঘোষিত দলে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় কোহলিকে। টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডেতেও এ দায়িত্ব দেওয়া হয় রোহিত শর্মাকে। অধিনায়কত্বের এ পালাবদল নিয়েই চলছে নানান গুঞ্জন।

এরই মধ্যে বোর্ডের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছেন বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, কোহলিকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব না ছাড়তে অনুরোধ করেছিলেন তারা। কিন্তু কোহলি বলছেন, তার সিদ্ধান্ত সাদরে গ্রহণ করেছে বিসিসিআই।

সবশেষ শুক্রবারও কোহলির মতের বিপরীত মন্তব্যই করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, কোহলির টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানো সভায় উপস্থিত থাকা সবাই-ই, তাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছিলেন।

চেতন বলেছেন, ‘যখন সভা শুরু হয়েছিল, সবার জন্যই এটি সারপ্রাইজ ছিল। কারণ বিশ্বকাপ তখন ঘরের দুয়ারে। এমন সময় এ এ খবর শুনলে যেকোনো স্বাভাবিক মানুষের প্রতিক্রিয়া আর কী হবে? সেই সভায় যারাই উপস্থিত ছিল, সবাই বলেছিল সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে, আবার ভাবতে। বলা হয়েছিল, এ বিষয়ে বিশ্বকাপের পরে ভাবা যাবে। এমনকি এটাও বলা হয়েছিল, ভারতের ক্রিকেটের কথা ভেবে হলেও কোহলি যেন অধিনায়কত্ব চালিয়ে যায়।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সেই সভায় উপস্থিত সবাই তাকে একই কথা বলেছে। সব আহ্ববায়ক, বোর্ডের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। সবাই তাকে বলেছে অধিনায়কত্ব না ছাড়তে। এমন খবর শুনলে কে এই কথা না বলবে? সবাই তাকে বলেছে এ বিষয়ে বিশ্বকাপের পর কথা বলা যাবে। তবে তার নিজের পরিকল্পনা ছিল। আমরাও তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছি।’

এর আগে প্রায় একই সুরে বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি বলেছিলেন, ‘আমরা কোহলিকে অনুরোধ করেছিলাম, সে যেন টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব না ছাড়ে। কিন্তু সে অধিনায়কত্ব চালিয়ে নিতে চায়নি। তাই নির্বাচকরা ভেবেছে, সাদা বলের দুই ফরম্যাটে দুজন ভিন্ন অধিনায়ক থাকতে পারে না।’

আর এ বিষয়ে কোহলির বক্তব্য ছিল, ‘যখন আমি টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেই, তখন আগে বিসিসিআইয়ের সঙ্গেই কথা বলেছি যে এটা আমার দৃষ্টিভঙ্গি ও এই কারণে আমি ছেড়ে দিচ্ছি। তারা বেশ ভালোভাবেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং তাদের পক্ষ থেকে কোনো দ্বিমত ছিল না। আমাকে অধিনায়কত্ব না ছাড়তে কিছু বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছিল যে খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।’

দৈনিক বগুড়া