মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বন্ধু থেকে শত্রু! পাকিস্তানের হারে আফগানদের উল্লাস

বন্ধু থেকে শত্রু! পাকিস্তানের হারে আফগানদের উল্লাস

বন্ধু রাষ্ট্র। আফগানিস্তানের ক্রিকেটের উন্নতিতে পাকিস্তানের বড় অবদান আছে। আফগানদের সোনালি প্রজন্মের ক্রিকেটার রশিদ খান, জাজাই, মুজিব, জান্নাত, রহমত সবারই ক্রিকেটের হাতেখড়ি পাকিস্তানে। কিন্তু এশিয়া কাপের রুদ্ধশ্বাস একটি ম্যাচের পর যেন দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক এসে ঠেকেছে তলানিতে। মাঠের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। সুপার ফোরের ম্যাচে হেরে বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পর আফগান সমর্থকরা হামলে পড়েন পাকিস্তানি সমর্থকদের ওপর। সেই রেশ ছড়িয়েছে বোর্ড কর্তা থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটার পর্যন্ত।

আফগান ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে এখন বন্ধু নয়, বড় শত্রু পাকিস্তান। পাকিস্তানের হারে তাই উল্লাস হয় আফগানিস্তানের রাস্তায়। রোববার ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে পাকিস্তান হারের পর আনন্দ উযপান করেছেন আফগান সমর্থকরা। যে ভিডিও এখন রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পাকিস্তান হারতেই কাবুলের রাস্তায় নেমে রাতেই উল্লাস করতে দেখা যায় সাধারণ আফগান ক্রিকেটপ্রেমীদের। আফগানদের উল্লাসের ভিডিও টুইট করেন শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত এম আশরাফ হায়দারি।

তিনি টুইট করে লেখেন, ‘বিশ্বজুড়ে আফগানরা শ্রীলঙ্কার দুর্দান্ত জয় উদযাপন করছে। এটি খোস্তের একটি দৃশ্য মাত্র। অসহিষ্ণুতা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং বৈচিত্র্য, গণতন্ত্র এবং বহুত্ববাদের প্রতীক খেলা। শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হোক।’

শুধু তাই নয়। আফগান সমর্থকদের অনেকে টুইট করে এশিয়া কাপ ফাইনালে হারের জন্য পাকিস্তানকে খোঁচা মেরেছেন এবং জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

গুলাম আশরাফ নামক এক আফগান টুইট করে লেখেন, ‘শ্রীলঙ্কাকে অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ। আমাদের খুশি করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। শ্রীলঙ্কার এই জয় উদযাপন করছে আফগানিস্তান।’

বিলাল জাজাই নামক অপর এক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, ‘এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে আমরা একবার হারিয়েছি, কিন্তু তোমরা (পাকিস্তান) দু’বার হেরেছ।’

এমআর খান নামক এক আফগান টুইটার ব্যবহারকারী পাকিস্তানের ফিল্ডিং নিয়ে খোঁচা মেরে ভানুকা রাজাপাকসের ক্যাচ ছাড়ার মুহূর্তের ছবি পোস্ট করেন। মিলানা নামর নামে একজন লেখেন, ‘পাকিস্তানের পতনই আমার আনন্দের কারণ।’

দৈনিক বগুড়া