বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপে এশিয়ার গর্ব জাপান-দ.কোরিয়া

বিশ্বকাপে এশিয়ার গর্ব জাপান-দ.কোরিয়া

মধ্যপ্রাচ্যে ও আরববিশ্বে প্রথমবার আর এশিয়ায় দ্বিতীয়বার আয়োজিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্ব শেষ ষোলোতে এশিয়ার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।

গ্রুপ পর্ব পার করে দ্বিতীয় রাউন্ডে আসাও চলতি বিশ্বকাপে দারুণ ব্যাপার। কারণে জার্মানির মতো দল এরই মধ্যে ছিটকে গিয়েছে। প্রথম পর্বে বিশ্বকে বেশ কয়েকবার চমকে দিয়েছে এশিয়ার দেশগুলো। সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনার হার, জাপানের হাতে জার্মানির বিধ্বস্ত হওয়ার কথা অনেকেরই মনে থাকবে। আয়োজনকারী কাতার ছাড়া বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া এশিয়ার সব দেশই দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। এসব দেশের উন্নতিও চোখে পড়ার মতো। 

ইরান হারিয়ে দিয়েছে ওয়েলসকে। সৌদির কাছে হারে হট ফেভারিট আর্জেন্টিনা। জাপানের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে জার্মানি ও স্পেন। এছাড়া শক্তিশালী পর্তুগালকে হারিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। 

২০০২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। সেই সময়ও তারা খুব ভালো খেলেছিল। শেষ ষোলোতে উঠেছিল জাপান এবং সেমিফাইনাল খেলেছিল দক্ষিণ কোরিয়া। উল্লেখযোগ্যভাবে এবারও এশিয়ার মুখ এই দুই দেশ।

ফুটবল বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনকার পরিস্থিতিতে এই ফলাফলকে অঘটন মনে করা হলেও কয়েক বছর পর তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এশিয়ার দলগুলো বড় কোনও দেশকে হারালেও তাকে আর অঘটন বলা হবে না।

এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে, গত কয়েক বছর ধরে টেকনিক্যালি এশিয়ার দেশগুলো অনেক এগিয়েছে। বিশেষত জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে। শিকড় থেকে থেকে ফুটবলার তুলে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বছরের পর বছর যাওয়ার পর তবেই জাতীয় দলে মিলছে সুযোগ। 

জাপানের যে দল জার্মানি বা স্পেনকে হারিয়েছে, তাদের অন্তত ছ’জন বিদেশি লিগে খেলেন। জাপানের দুই গোলদাতা রিৎসু দোয়ান এবং তাকুমা আসানো জার্মানির ঘরোয়া লিগে নিয়মিত খেলেন। কোরিয়ার সন হিউং মিন তো দীর্ঘ দিন ধরেই ইপিএলের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারের নয়নের মণি। এখন দেখার বিষয় শেষ ষোলোতে তাদের ফল কী হয়।

দৈনিক বগুড়া