শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রনির সাথে জুটি গড়ার মজা পেয়ে গেছেন লিটন

রনির সাথে জুটি গড়ার মজা পেয়ে গেছেন লিটন

পর পর দুই ম্যাচে তারা উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন। একজোড়া নতুন রেকর্ডও গড়লেন। ২৭ মার্চ লিটন দাস আর রনি তালুকদার ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ৯১ রানের জুটি গড়েছিলেন। যেটা আজ বাংলাদেশ আর আয়ারল্যান্ড ম্যাচ শুরুর আগে পর্যন্ত ছিল প্রথম উইকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ।

সেই পার্টনারশিপ গড়ার পথে লিটন ও রনি পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৮১ রান তুলে বাংলাদেশের পক্ষে পাওয়ার প্লে’তে সবচেয়ে বেশি রান তোলার নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন। আর আজ এই জুটি ছাপিয়ে গেলেন নিজেদেরকে। অতিক্রম করলেন আগের ম্যাচে গড়া রেকর্ডকে।

বুধবার বন্দর নগরীর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম উইকেটে নতুন রেকর্ড গড়েছেন লিটন দাস আর রনি তালুকদার। তারা প্রথম উইকেটে তুলে দিয়েছেন ১২৪ রান। এর আগের জুটিটা ছিল দুই বাঁ-হাতি সৌম্য সরকার আর নাইম শেখের। তারা ২০২১ সালের ২২ জুলাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ১০২ রানের জুটি গড়েছিলেন।

আজ তা ছাপিয়ে গেলেন লিটন ও রনি। এছাড়া তামিম ইকবাল ও লিটন দাসেরও ২০২০ সালের ৯ মার্চ মিরপুরের শেরে বাংলায় ৯২ রানের এক বড়সড় পার্টনারশিপও আছে।

এই যে নতুন জুটি গড়ে রানের নহর বইয়ে দেয়া, রেকর্ডের পর রেকর্ড সৃষ্টি; এটা কতটা আনন্দের, উপভোগের? রেকর্ডের কথা কি মাথায় ছিল তাদের? লিটন দাসের অনুভুতি শুনে মনে হলো, এসব নিয়ে খুব বেশি বাড়াবাড়ি করতে নারাজ তিনি। অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে বললেন, ‘বললাম তো ভালো।’

রেকর্ডের কথা জানতেন না। তাই বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, কখনোই রেকর্ড নিয়ে চিন্তাও করি না।’ ওপেনিং জুটির অ্যাপ্রোচ বদলালেন কিভাবে? ব্যাপারটি কি এরকম যে উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী বদলে গেছে, আর পারফরম্যান্সও পরিবর্তন হয়ে গেছে?

এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মনে হয় খানিকটা ক্ষুব্ধ লিটন দাস। অতীতের সঙ্গে নতুন জুটির তুলনার প্রশ্ন শুনে অনেকটা ঝাঁঝের সঙ্গে
প্রশ্নকর্তার কাছে লিটনের উল্টো জিজ্ঞাসা, ‘আপনারা যে কোনো সময় যখন প্রশ্ন করেন, পেছনের কথা কেন টানেন? নতুন যে জিনিসটা হচ্ছে, এটা কি ভালো লাগছে না? দুই বছর, এক বছর আগের জিনিস টানার তো কোনো দরকার নেই। এখন ভালো খেলছি। এই জুটিটা কতটা যেতে পারে, দেখি।’

সঙ্গী হিসেবে রনি কেমন? এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে লিটন অকপটে স্বীকার করেন, রনির সাথে ব্যাট করে তিনি সন্তষ্ট। তার ভাল লাগছে। সঙ্গী রনির ব্যাটিং তিনি উপভোগ করছেন, তাই মুখে এমন কথা, ‘তার (রনির) সাথে ব্যাটিং করে অনেক মজা পাচ্ছি।’

লিটন যোগ করেন, ‘যে শুরু আমরা এনে দিয়েছি, আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে এটাই সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বড় কিছু তো আর হতে পারে না। এখন টানা প্রতিটা ম্যাচেই আপনি এই সাফল্য পাবেন না, যে যাবো আর দুইজনই হিট করা শুরু করব। এমন সময় আসবে যে, ভুগতেও হতে হবে।’

আউটের আগে বল মিস হচ্ছিল, কিছুটা ছটফট করছিলেন। এটা স্বীকার করতে এতটুকু দ্বিধা নেই। লিটনের মনে হয়, ওই সময় একটু ধৈর্য্য ধরে সময় নিয়ে খেললে নির্ঘাত সেঞ্চুরিটা হয়ে যেত। ‘আমার মনে হয় খুব তাড়াহুড়ো করছিলাম। মাঝখানে স্পিনাররা খুবই ভাল বল করছিল। উইকেটও হেল্প করেছে তাদের। আমি যদি আরেকটু সময় নিয়ে তাদের বলগুলো খেলতাম তাহলে ৮৩ বা ৮৪ এর জায়গায় (আসলে ৮৩) ১০০ হতো।’

দৈনিক বগুড়া