শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অক্টোবরের মধ্যে ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ বিধিমালা’ চূড়ান্তের নির্দেশনা

অক্টোবরের মধ্যে ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ বিধিমালা’ চূড়ান্তের নির্দেশনা

প্রত্যেক সন্তানকে তার মা-বাবার যথোপযুক্ত পরিচর্যা নিশ্চিত করার বাধা-বাধ্যকতা রেখে  ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ বিধিমালার’ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা এ বিধিমালা চলতি অক্টোবর মাসের মধ্যে চূড়ান্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার  আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডেকেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। 

এর আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেপ্টেম্বর মাসের এক সভায় জানানো হয়, এ বিষয়ে খসড়া বিধিমালা করা হয়েছে। খসড়া বিধিমালা চূড়ান্ত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আহ্বান করতে হবে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় অক্টোবর মাসের মধ্যে বিধিমালা চূড়ান্ত করতে হবে। অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও আইন), সংস্থা প্রধানরা ও উপ-সচিব (আইন ও সংস্থা) এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

জানা গেছে, ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩’ অধীনে ২০১৭ সালে মা-বাবার ভরণপোষণ বিধিমালা করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। পরে ওই খসড়ার সংশোধন করা হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (আইন ও সংস্থা অধি-শাখা) মো. গিয়াস উদ্দিন মোগল বলেন, আশা করছি, ২০ অক্টোবর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করতে পারব। এরইমধ্যে স্টেকহোল্ডারদের মতামতও নেয়া হয়েছে।

খসড়া বিধিমালায় বলা হয়েছে, একমাত্র ছেলে সস্ত্রীক চাকরি নিয়ে দূরে বা প্রবাসে থাকলে ‘উপযুক্ত প্রতিনিধির’ মাধ্যমে মা-বাবার সেবা নিশ্চিত করতে হবে। এখানে ‘উপযুক্ত প্রতিনিধি’ বলতে সন্তানের কোনো নিকটাত্মীয় চাচা, চাচি, ফুপা, ফুপু, মামা, মামি, খালা, খালু, ভাই, ভাবি, ভগ্নি, ভগ্নীপতি, শ্যালক, শ্যালিকা বা এ ধরনের রক্ত-সম্পর্কীয় কেউ, বিশ্বস্ত কর্মী বা প্রতিবেশীকে বোঝানো হয়েছে। প্রত্যেক সন্তান মা-বাবাকে সঙ্গে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। 

একাধিক সন্তান থাকলে মা-বাবা কোন সন্তানের সঙ্গে বসবাস করবেন, তা তাদের ইচ্ছানুযায়ী হবে। সন্তান বা তার স্ত্রী-সন্তান মা-বাবার সেবা ঠিকমতো করছে কিনা তা যাচাই করতে সারাদেশের ওয়ার্ড পর্যায়ে সহায়ক কমিটি থাকবে। এছাড়া ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা, সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় পর্যায়ে এজন্য কমিটি থাকবে বলে খসড়া বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

খসড়া বিধিমালায় আরো বলা হয়, কোনো সন্তান বা তার স্ত্রী উপযুক্ত ভরণপোষণ ও সেবা নিশ্চিত না করলে সে বিষয়ে সহায়ক কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন মা-বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পর কমিটি সরেজমিন গিয়ে মা-বাবা ও সন্তানদের সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনার ভিত্তিতে তা সুরাহা না হলে কমিটি মা-বাবাকে অভিযোগ দাখিল করতে বলবে। ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালত তা নিষ্পত্তি করবে। এছাড়া সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ বা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করতে পারবে।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

এবার উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির!
বগুড়ায় পানি নিষ্কাশনে ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
বগুড়ায় দাম কমেছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের
বগুড়ার বিখ্যাত সাদা সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
গাবতলীতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
সারিয়াকান্দিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা পালিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু