শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিষেক সিরিজেই সবার সেরা কিংবদন্তি কাদিরপুত্র উসমান

অভিষেক সিরিজেই সবার সেরা কিংবদন্তি কাদিরপুত্র উসমান

বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দীর্ঘদিন পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে সার্ভিস দেবেন, এমনটাই প্রত্যাশা কিংবদন্তি লেগস্পিনার আব্দুল কাদিরের ছেলে উসমান কাদিরের ওপর। বাবা আব্দুল কাদিরের মতো ছেলে উসমান কাদিরও লেগস্পিনার, বোলিং অ্যাকশনও কাছাকাছি। যে কারণে উসমানের ওপর সকলের প্রত্যাশা যেন বেড়েছে আরও বেশি।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উসমানের অভিষেকটা হয়েছে খানিক দেরিতেই, বয়সের কাঁটা ২৭ পেরিয়ে যাওয়ার পর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নাম লিখিয়েছেন গত আগস্টে ২৭ পূরণ করা উসমান। এতে অবশ্য তার পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব পড়েনি।

বরং এতদিন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাই যেন কাজে লাগিয়েছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। শুধু কাজে লাগিয়েছেন বললেও ভুল হবে, নিজের অভিষেক সিরিজেই সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন উসমান, নিজ দলকে টানা তিন ম্যাচ জিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পাইয়ে দেয়ার পথে জিতেছেন সিরিজসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি শেষ হয়েছে মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর)। শেষ ম্যাচে ৮ উইকেটের সহজ জয়ে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করে দিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করতে সক্ষম হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তাদেরকে অল্প রানে আটকে ফেলার মূল কারিগর উসমান।

তৃতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা এ লেগস্পিনার নিজের ৪ ওভারের স্পেলে খরচ করেছেন মাত্র ১৩ রান, সাজঘরে পাঠিয়েছেন চার ব্যাটসম্যানকে। তার মায়াবি স্পিনের বিপরীতে জবাব খুঁজে পাননি চামু চিবাবা, ওয়েসলে মাধভের, মিল্টন শুমা ও এল্টন চিগুম্বুরারা। এমন বোলিংয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন উসমান।

তবে সিরিজসেরার পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে প্রথম দুই ম্যাচের পারফরম্যান্সও। গত ৭ নভেম্বর নিজের অভিষেক ম্যাচে তেমন সুবিধা করতে পারেননি উসমান। তাকে দিয়ে পুরো ৪ ওভারই করাননি অধিনায়ক বাবর আজম। খানিক খরুচে বোলিংয়ে ৩ ওভারে ২৪ রান খরচায় নেন শন উইলিয়ামসের উইকেট।

প্রথম ম্যাচে ঠিক প্রত্যাশামাফিক বোলিং করতে না পারলেও, দ্বিতীয়টিতেই ঘুরে দাঁড়ান উসমান। এবার হয়ে যান দলের সেরা বোলার, ৪ ওভারের স্পেলেন খরচ করেন মাত্র ২৩ রান, সাজঘরে পাঠান ওয়েসলে মাধভের, সিকান্দার রাজা ও এল্টন চিগুম্বুরাকে। তবে এ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন হায়দার আলি।

ধারাবাহিক উন্নতির অংশ হিসেবেই শেষ ম্যাচে নিজের প্রথম দুই ম্যাচকেই ছাড়িয়ে গেছেন উসমান। তৃতীয় ম্যাচটিতে ১৩ রানে ৩ উইকেটসহ পুরো সিরিজে তিন ম্যাচে মাত্র ৫.৪৫ ইকোনমি রেটে ৮ উইকেট শিকার করেছেন তিনি, গড় মাত্র ৭.৫০। যা তাকে এনে দিয়েছে সিরিজসেরা খেলোয়াড় হওয়ার সম্মান।

দৈনিক বগুড়া