মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অস্পষ্ট-দূর্বোধ্য বা রহস্যময় লিঙ্গের জানা-অজানা কিছু কথা

অস্পষ্ট-দূর্বোধ্য বা রহস্যময় লিঙ্গের জানা-অজানা কিছু কথা

মানব প্রজাতি যখন ছেলে অথবা মেয়ের স্বাভাবিক লিঙ্গ বৈশিষ্টের বাইরে অন্য কোন শারীরিক বৈশিষ্ট নিয়ে জন্মায় তখন তাকে হিজড়া/ লিঙ্গ বিকাশজনিত ত্রুটি/ অস্পষ্ট বা দূর্বোধ্য অথবা রহস্যময় লিঙ্গ/ লিঙ্গ প্রতিবন্ধী বলা হয়। সেটা হতে পারে ক্রোমোজম, জননাঙ্গ, লিঙ্গ সম্পর্কিত হরমোন বা লিঙ্গ বৈশিষ্টের ভিন্নতায়। 

হিজড়া একটি ব্যাপক / ব্যাপ্তী মূলক সংজ্ঞা যেখানে শরীরের স্বাভাবিকের ভিন্নতা বিভিন্ন মাত্রায় হতে পারে, না কখনো যেটি জন্মের পরপরই অথবা বয়ঃসন্ধিকালে বুঝা যায়, আবার কখনো জীনের (Genetic test) পরীক্ষা ছাড়া বোঝা প্রায় অসম্ভব। 

পৌরানিক এবং প্রাক-আধুনিক যুগ থেকেই এই ধরনের বৈশিষ্ট সম্বলিত মানব প্রজাতির অস্তিত্ব জানা যায়। যীশু খৃষ্টের জন্মের শতবর্ষ পূর্বে গ্রীক ঐতিহাসিক ডিওডোরাস সিক্যুলাস (Diodorus Siculus) তার “হারমোফ্রডিটাস (Hermaphroditus) লেখায় এদেরকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করেন (Hermaphroditus is born with a physical body which is a combination of that of a man and that of a women” and with supernatural properties)। 

পরবর্তীতে ইউরোপ এবং পশ্চিমাবিশ্বে এবং পৃথিবীর অন্যান কিছু দেশে এদের আইনগতভাবে অস্তিত্বের স্বীকৃতি দেয়া হয়। পৃথিবী জুড়েই এই সমস্যা বিদ্যমান এবং এর সঙ্গে সঙ্গে কিছু সামাজিক কুসংস্কার, অজ্ঞতা, অবহেলা এবং অপরাধ বিদ্যমান। সময়মতো এদেরকে চিহ্নিত করে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সহায়তার মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে এদেরকে স্বাভাবিক জীবন-যাপনের সুযোগ দানের মাধ্যমে কুসংস্কার, অজ্ঞতা, অবহেলা এবং অপরাধ হতে ব্যক্তি, সমাজ এবং জাতিকে সহায়তা করা সম্ভব। 

হিজড়ারাও আপনার, আমার মতো সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। কোনো মায়ের গর্ভজাত এবং আমাদেরই কারো ভাই বা বোন। তাই তাদেরকে স্বাভাবিকভাবে গড়ে তোলা এবং সমাজে সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব এবং কর্তব্য। অন্যান্য রোগের/শারীরিক সমস্যার মতো হিজড়াও একটি শারীরিক বা এন্ডোক্রাইন সমস্যা, যার চিকিৎসাও চিকিৎসাশাস্ত্রে মোটামুটিভাবে প্রতিষ্ঠিত।

সময়মত সনাক্তকরণপূর্বক যথাযথ/ধারাবাহিক চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে এদের লিঙ্গ পরিচয়ে পরিচিতি করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। উপরন্তু এরা পারিবারিক জীবন এমনকি বংশবৃদ্ধিতে কখনও কখনও সক্ষম হতে পারে। আসুন আমরা বৈষম্য সৃষ্টি না করে অবহেলার পথ পরিহার করে এদের সহায়তার জন্য এগিয়ে আসি।
 
মানবদেহ ২৩ জোড়া ক্রোমোজম দ্বারা গঠিত, তন্মধ্যে ২২ জোড়া দেহকোষ বা অটোজম এবং ১ জোড়া সেক্স ক্রোমোজম বা লিঙ্গ নির্ধারন ক্রোমোজম। এই ২৩ জোড়া বা ৪৬টি ক্রোমোজমের অর্ধেক মায়ের কাছ থেকে এবং বাকি অর্ধেক বাবার কাছ থেকে আসে। একটি জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পৃথকভাবে আসা ক্রোমোজমগুলো একিভূত হয়ে নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি করে। সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা নির্ধারণ হয় বাবার থেকে আসা X বা Y ক্রোমোজমের উপর নির্ভর করে। বিজ্ঞান বা মানুষ এর নিয়ন্ত্রণ করতে অপারগ, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় বাবার সেক্স ক্রোমোজম জোড়া (XY) হতে অর্থাৎ X বা Y গর্ভধারণের সময় মায়ের ক্রোমোজমের সঙ্গে মিলিত হয়। অর্থাৎ মা সবসময়ই এক জোড়া সেক্স ক্রোমোজম XX বহন করে।

অতএব, সন্তান ছেলে বা মেয়ে হওয়ার জন্য মোটেই মা অভিযুক্ত নয়। বিধাতার নিয়মেই এটা বাবার যে ক্রোমোজমটি ডিম্বানুতে নিষিক্ত হবে তার উপর নির্ভরশীল।

মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তার লিঙ্গ পরিচয়। একজন শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর মানুষের সবচেয়ে বড় আগ্রহ থাকে শিশুটি ছেলে না মেয়ে তা জানার, অর্থাৎ তার লিঙ্গ পরিচয়। সেই লিঙ্গই যদি ত্রুটিপূর্ণ বা অস্পষ্ট অথবা অনির্ধারিত হয় তাহলে যেমন মা বাবার অতিরিক্ত মানসিক চাপ বাড়ে তেমনি সমাজ সংসারেও এর একটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আমরা সেই অনির্ধারিত অথবা অস্পষ্ট বা ত্রুটিপূর্ণ লিঙ্গের ব্যাপারে কিছুটা আলোকপাত করতে চাই।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের পবিভাষায় লিঙ্গ নির্ধারণের উপাদানগুলো হল:

> ক্রোমোজমের সংখ্যা এবং ধরণ

(মানবদেহের মোট ক্রোমোজম সংখ্যা ২৩ জোড়া, ২২ জোড়া দেহ বৈশিষ্ট এবং এক জোড়া লিঙ্গ বৈশিষ্ট বহন করে, পুরুষের ক্ষেত্রে যা হলো XY এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে XX লিঙ্গ নির্ধারণকারী ক্রোমোজম)।

> লিঙ্গ নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন- টেস্টোস্টেরন, ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরন ইত্যাদির অসামঞ্জস্যতা।

> জননাঙ্গের শরীর বৃত্তিয় কাঠামো যেমন মেয়েদের ডিম্বাশয়, ডিম্বনালী, জড়ায়ু এবং যোনীপথ আর ছেলেদের অন্ডকোষ এবং শুক্রনালী।

> বহিঃলিঙ্গের বৈশিষ্ট্য, যেমন ছেলেদের পুরুষলিঙ্গ, অন্ডকোষ এবং অন্ডথলি আর মেয়েদের যোনীদার যার উপরের দিকে ভগাস্কুর, দুই পাশে বিশেষ চামড়ার ভাজ এবং মাঝখানে যোনিমুখ ও মূত্রনালীর ছিদ্র থাকে।

> আনুষঙ্গিক বৈশিষ্ট্য সমূহ যা বয়ঃসন্ধিকালে লিঙ্গ বৈশিষ্ট্যকে আরো প্রকটর, করে। যেমন: মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়া, স্তন গঠন, শরীরে চর্বির সুবিন্যাশ এবং তলপেটের লোমের বিশেষ বিন্যাশ। ছেলেদের ক্ষেত্রে দাড়ি-গোফ গজানো, মাংসপেশী সুগঠিত হওয়া, কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, পুরুষাঙ্গ ও অন্ডকোষের স্থুলতা এবং তলপেটের লোম ছেলেদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য বিন্যস্ত হওয়া।

হিজড়া অথবা লিঙ্গ বিকাশজনিত ত্রুটি (Disorder of Sex Development) বা অস্পষ্ট লিঙ্গ/ দূর্বোধ্য বা রহস্যময় লিঙ্গ (Ambiguous Genitalia) হলো বেশকিছু বিরল এবং জটিল লিঙ্গ সম্পর্কীয় ত্রুটির সমষ্টি যেখানে প্রজনন অঙ্গ ভেতরে এবং বাইরে যথাযথভাবে বিকশিত হয় না।

যদি কারো এ ধরনের ত্রুটি দেখা দেয়, তবে মনে করতে হবে তার মধ্যে পুরুষ এবং মহিলা লিঙ্গের মিশ্র বৈশিষ্ট্য থাকার সম্ভাবনা আছে। কারও কারও সেক্স ক্রোমোজম পুরুষ (XY) অথবা মহিলা (XX) কিন্তু প্রজনন অঙ্গ
(Reproductive organ) হতে পারে -

  • বিপরীত লিঙ্গ বৈশিষ্ট্যের বা স্পষ্টভাবে পুরুষ অথবা মহিলার মতো না হওয়া বা

  • পুরুষ এবং মহিলার সংমিশ্রিত লিঙ্গ

এই অবস্থার/ সমস্যার/ ত্রুটির কারণ এখনও অস্পষ্ট। এটি নির্ভর করে লিঙ্গ নির্ধারণের (হরমোনের কার্যক্ষমতা) হরমোন প্রজনন অঙ্গসমূহের উপরে কোন ব্যপ্তিতে/ কিভাবে কাজ করছে তার উপর।

 

 

 

অনেক ধরনের লিঙ্গ বিকাশজনিত ত্রুটি দেখা যায়। তার মধ্যে যেগুলো সচরাচর দেখা যায় সেগুলো বর্ণনা করা হলো:

১. মেয়ের ক্রোমোজম বহনকারী কিন্তু অস্পষ্ট লিঙ্গ বা ছেলের মতো বাহ্যিক লিঙ্গ:

এদের সেক্স ক্রোমোজম XX এবং জড়ায়ু ও ডিম্বানু স্বাভাবিক কিন্তু তাদের বাহ্যিক জননাঙ্গ মেয়েদের বৈশিষ্ঠ্যমন্ডিত নয়। যেমন, তাদের ভগাঙ্কুর (Clitoris) বড় এবং ছেলেদের লিঙ্গের মত হতে পারে এবং যোনীপথ (Vagina) বন্ধ থাকতে পারে। চিকিৎসাশাস্ত্রে এই অবস্থাকে  46 XX DSD বা Female pseudoharmaphrodite বলা হয়।

এই সমস্যার প্রধান কারণ হলো Adrenal Gland এর জন্মগত অতিবৃদ্ধি বা hyperplasia, যেখানে Cortisol এবং Aldosterone হরমোন তৈরির জন্য শরীরে যথেষ্ট/পর্যাপ্ত এনজাইম বা পাচক রসের ঘাটতি থাকে। যার ফলে শরীরে অতিরিক্ত ছেলে হরমোনের (অহফৎড়মবহ) আধিক্য দেখা দেয় এবং বাহ্যিকভাবে ছেলে বৈশিষ্টমন্ডিত লিঙ্গ বহন করে।

এর ফলে কখনো কখনো মারাত্মক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় যেমন, কিডনি সমস্যা এবং তার আশু ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়ে।

২. ছেলের ক্রোমোজম বহনকারী কিন্তু বাহ্যিকভাবে মেয়ের লিঙ্গ বহনকারী এবং কিছু অভ্যন্তরীন ছেলের জননাঙ্গ বিশিষ্ট:

এদের সেক্স ক্রোমোজম XY কিন্তু বহিঃজননাঙ্গ পুরোপুরি মেয়েদের অথবা অস্পষ্ট থাকে। জড়ায়ু কখনো থাকে বা নাও থাকতে পারে কিন্তু অন্ডকোষ পেটের মধ্যে বা অস্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে একে 46 XY DSD বলা হয় (Male pseudoharmaphrodite)। 

এর অনেকগুলো কারণ আছে, তন্মধ্যে ছেলে হরমোনের প্রতি শরীরের/ জননাঙ্গের কম আসক্তি (Androgen insensitivity syndrome – AIS) অন্যতম। ফলে বাহ্যিকভাবে লিঙ্গ মেয়েদের মত হয়।

৩. স্বাভাবিক জননাঙ্গ কিন্তুঅস্বাভাবিক লিঙ্গ বিকাশ

কখনও কখনও ক্রোমোজম বৈশিষ্ট্য না হয় XX নতুবা XY। তাদের ক্ষেত্রে একটা X ক্রোমোজম কম (X0) বা বেশি (XXY) হয়। তাদের জননাঙ্গ স্বাভাবিক মেয়ে অথবা ছেলের মত থাকে কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালে তাদের লিঙ্গ বৈশিষ্টের বিকাশ হয় না, যেমন: মেয়ে কিন্তু মাসিক শুরু হয় না। চিকিৎসাশাস্ত্রে এই ত্রুটিকে Sex Chromosome DSD বলা হয়।

Sex Chromosome DSD এর মধ্যে এক প্রকার Klinefelter Syndrome, যেখানে ছেলে শিশু একটি অতিরিক্ত x ক্রোমোজম নিয়ে জন্মায় (47XXY)। এক্ষেত্রে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পুরুষ হরমোন বা Testosterone তৈরি হয় না। ফলে তাদের জননাঙ্গ এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গের বিকাশ পুরুষের বৈশিষ্টমন্ডিত হয় না এবং প্রজননক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে না।

আরেক প্রকার হলো Turner syndrome, যেখানে মেয়ে শিশুর একটি X ক্রোমোজম কম থাকে (45X) এবং আক্রান্ত শিশু এবং মহিলারা সাধারনত প্রজননে অক্ষম এবং স্বাভাবিকের তুলনায় খর্বাকার হয়।
 
৪. স্বাভাবিক বহিঃজননাঙ্গ বিশিষ্ট মেয়ে কিন্তু জরায়ু অনুপস্থিত

কিছু কিছু মেয়ে শিশু অসম্পূর্ন বা অনুপস্থিত জরায়ু এবং জড়ায়মুখ যোনীপথের আংশিক অনুপস্থিতি নিয়ে জন্মগ্রহ করে। কিন্তু তাদের ডিম্বানু এবং বহিঃজননাঙ্গ স্বাভাবিক থাকে। পাশাপাশি বয়সবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের তলপেটের লোম স্বাভাবিক হতে থাকে। এদেরকে Rokitarsky Syndrome বা MRKH Syndrome বলা হয়। এই সমস্যার কারণ অজানা। তবে ইহা স্পষ্টত ক্রোমোজম সম্বন্ধীয় নয় কারণ তাদের স্বাভাবিকঢঢ ক্রোমোজম থাকে। সাধারনত প্রথম মাসিক শুরু না হওয়া দেখে এদের সনাক্ত করা যায়। যোনীপথ স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট হওয়ার কারণে সহবাসও কষ্টদায়ক হয়। জরায়ু না থাকার কারণে এরা গর্ভবতী হতে পারে না।

৫. ছেলে এবং মেয়ের সমন্বিত বৈশিষ্ট বহনকারী:

এই ধরনের অতি বিরল বৈশিষ্টের শিশুর ডিম্বাশয় এবং অন্ডকোষ বা শুক্রাশয় উভয়ই থাকে এবং বহিঃজননাঙ্গ ছেলে অথবা মেয়ে অথবা ছেলে এবং মেয়ের মিশ্র বৈশিষ্টের হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এদের 46XX Ovo-testicular DSD বা True harmaphrodite বলা হয়।

জন্মপরবর্তী সনাক্তকরণ:

  • লিঙ্গ বিকাশজনিত ত্রুটিসমূহের কিছু কিছু লক্ষণ বা বৈশিষ্ট জন্মের পরপরই সনাক্তকরণ সম্ভব যেমন:

  • অন্ডকোষের অনুপস্থিতি

  • অস্বাভাবিক বহিঃলিঙ্গ

  • খুব ছোট পুরুষ লিঙ্গ

  • লম্বা ভগাঙ্কুর

  • জন্মের পরপর অস্বাভাবিক/ অবিরাম বমি

বয়সন্ধিকালে সনাক্তকরণ:

বয়ঃসন্ধিকালে লিঙ্গের স্বাভাবিক পরিবর্তন এবং অন্যান্য লিঙ্গ বৈশিষ্টসমূহের স্বাভাবিক বিকাশ না হওয়া, যেমন: মেয়ের মাসিক না হওয়া, স্তনের গঠন না হওয়া, কন্ঠস্বরের অস্বাভাবিক পরিবর্তন, দাড়িগোফ গজানো ইত্যাদি। ছেলের ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গ বড় না হওয়া, দাড়ি-গোফ না গজানো, কন্ঠস্বর এবং পেশীর স্বাভাবিক পরিবর্তন না হওয়া ইত্যাদি।

করনীয়:

> নবজাতকের জন্মের পর শিশুর যত্নের পাশাপাশি মা, বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে উপরোক্ত সমস্যাগুলো খেয়াল করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহনে উদ্যোগ নেয়া।

> এরকম সমস্যা মনে হলে লিঙ্গ নির্ধারনের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে জেনেটিক টেস্ট ও আল্ট্রাসোনোগ্রাম করে লিঙ্গ নির্ধারন করা এবং পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই