করোনা ঠেকাতে সুইজারল্যান্ডের ওষুধ কোম্পানি রোশে’র উদ্ভাবিত নতুন একটি পরীক্ষা পদ্ধতির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই পদ্ধতিতে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হবে কারো শরীরে এরমধ্যেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, যার ফলে তার এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে।
যুক্তরাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রোশে’র উদ্ভাবিত এই অ্যান্টিবডি পরীক্ষা পদ্ধতি করোনা চিকিৎসায় খুবই ইতিবাচক অগ্রগতি। - খবর বিবিসি
এতদিন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা বলছিলেন এই পরীক্ষা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য নয়। এখন বিভিন্ন সূত্র বিবিসি’কে জানিয়েছে রোশের উদ্ভাবিত পরীক্ষা পদ্ধতি এ যাবৎ প্রথম সবচেয়ে সম্ভাবনাময় পরীক্ষা পদ্ধতি।
এর আগে যুক্তরাজ্য সরকার এক কোটি ৬০ লক্ষ পাউন্ড খরচ করে অ্যান্টিবডি পরীক্ষার সরঞ্জাম ক্রয় করেছিলো, যা শেষ পর্যন্ত অকার্যকর বলে প্রমাণিত হয়।
মানুষের শরীরের যে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে সেটা অ্যান্টিবডি তৈরি করে যে অ্যান্টিবডি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নিজেকে তৈরি রাখে।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম এমন অ্যান্টিবডি শরীরে পাওয়ার মানে হল ওই ব্যক্তি ইতোমধ্যেই এই জীবাণুতে সংক্রমিত হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে তার লড়তে সেটা সক্ষম কি না সেটা প্রমাণিত নয়।
যুক্তরাজ্যের সরকারি গবেষণাগারে গত সপ্তাহে রোশের এই পরীক্ষা পদ্ধতির মান ও কার্যকারিতা যাচাই করা হয় বলে জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। তাদের মত হল এই পদ্ধতি ‘খুবই সুনির্দিষ্ট’।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, এটা প্রথমে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার স্বাস্থ্যকর্মী ও সামাজিক কেয়ার ব্যবস্থার কর্মীদের ব্যবহারের জন্য দেয়া হবে।
যুক্তরাজ্যের করোনাভাইরাস টেস্টিং কর্মসূচির জাতীয় সমন্বয়ক অধ্যাপক জন নিউটন বলেছেন, ‘এটা খুবই ইতিবাচক অগ্রগতি কারণ সংক্রমণের পর খুবই সুনির্দিষ্টভাবে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পরীক্ষার সম্ভাবনা এই রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারে একটা আস্থার জায়গা তৈরি করবে। এছাড়া ভবিষ্যতে সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যাপারে এই পরীক্ষা একটা দিক নির্দেশনা দেবে, যদিও সেই প্রতিরোধ সক্ষমতা কতটা দৃঢ় হবে তা এখনো বোঝা যাচ্ছে না।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন চিকিৎসা নিয়ন্ত্রকরাও এরইমধ্যে রোশে’র এই পরীক্ষা পদ্ধতি অনুমোদন করেছে।
দৈনিক বগুড়া
