বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইউনাইটেড হাসপাতালে মির্জা ফখরুল-মওদুদ, নেপথ্যে রাজনীতির অপচেষ্টা

ইউনাইটেড হাসপাতালে মির্জা ফখরুল-মওদুদ, নেপথ্যে রাজনীতির অপচেষ্টা

 

রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের খোঁজ-খবর নিতে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ-খবর নেয়ার নামে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ৮টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে যান বিএনপির এই দুই নেতা।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা যায়, হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে আহতদের খোঁজ-খবর ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার নামে রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছেন তারা।  এছাড়া তাদের সঙ্গে উপস্থিত বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুহূর্মুহূ সরকারবিরোধী স্লোগানে হাসপাতালকে ফুটপাতে পরিণত করে। পাশাপাশি বিএনপির এই দুই নেতা আহত রোগীদের আত্মীয়-স্বজনদের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে উসকানি দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।  জাতীয় একটি বিপর্যয়ে রাজনীতির নামে ঘৃণার বাণী ছড়িয়ে নিজেদের লোভী চরিত্র আবারো জনসম্মুখে আনলেন মির্জা ফখরুলরা।

মির্জা ফখরুলদের হাসপাতাল কেন্দ্রিক রাজনীতির কড়া সমালোচনা করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত একজন চিকিৎসক বলেন, বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক জ্ঞানের অভাব দেখে আমরা হতবাক হয়েছি। হাসপাতালের মতো জায়গায় দাঁড়িয়েও উনারা রাজনীতির নামে উসকানি দিয়েছেন।  তাদের কারণে চিকিৎসা দিতে অসুবিধা হচ্ছে।  মির্জা ফখরুল সাহেবের সঙ্গে উপস্থিত নেতারা স্লোগান দিয়ে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করেছেন।  নিষেধ করলে আমার উপর চড়াও হন মির্জা ফখরুলের একজন ব্যক্তিগত সহকারী।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরো বলেন, মৃত্যু নিয়ে যে রাজনীতি করা হচ্ছে তাতে লাভের চেয়ে ক্ষতির শঙ্কা বেশি রয়েছে।  বিএনপি লাশের রাজনীতির চেষ্টা করে আবারো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।  দুর্ঘটনায় আহতের ব্যক্তির স্বজনদের সান্ত্বনা দেয়ার নামে সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন উনারা।  এগুলো কাঙ্ক্ষিত নয়।  খুবই দুঃখজনক।

হাসপাতালে সহমর্মিতার নামে রাজনীতির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আমরা আহতদের খোঁজ নিতে এসে কোন অন্যায় করিনি।  রাগের মাথায় দু-চারটা হয়তো কথা বলেছি।  এগুলো নিয়ে রাজনীতি করার কোন সুযোগ নেই।  আমরা আহত ও নিহতদের যথাসাধ্য সহায়তা করার চেষ্টা করছি।  কবে নাগাদ এবং কিভাবে সহায়তা করা হবে সেটি নিয়ে জানতে চাইলে, ব্যারিস্টার মওদুদ ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান।  তিনি বলেন, দলীয়ভাবে চাঁদা তুলে তারপর বাকিটা করা হবে।

দৈনিক বগুড়া