বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এ এক অন্য স্বস্তিকা, অভিনেত্রীর মানবিক গুণে মুগ্ধ নেটিজেনরা

এ এক অন্য স্বস্তিকা, অভিনেত্রীর মানবিক গুণে মুগ্ধ নেটিজেনরা

স্বস্তিকা মুখার্জি। টলিপাড়ার প্রথমসারির অভিনেত্রীদের মধ্যে বরাবরই তিনি স্বপ্রতিষ্ঠিত। প্রতিবাদের ঝড় সবসময়েই উঠেছে তার গলায়। কোনো কিছু মুখ বুঝে সহ্য করেন না তিনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময়েই তিনি গলা চড়িয়ে গর্জে ওঠেন।  

সম্প্রতি তার মানবিক রূপে মুগ্ধ হয়েছে নেটিজেনরা। উত্তর ২৪ পরগনার হলদা আবারো ধীরে ধীরে ফিরছে স্বাভাবিক ছন্দে। কয়েকদিন আগেই গ্রামের সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিকঠাক হয়েছে। সাইক্লোন আমফানে বিধ্বস্ত সেই দুর্গম এলাকাতে এবার পৌঁছে গেলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। 

করোনা আতঙ্কে গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। যত দিন যাচ্ছে তত যেন ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যুসংখ্যা। এদিকে করোনা অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রকৃতির ধ্বংসলীলায় শেষ হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন। বাংলার প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষেরা এখনো ভুগছে। তেমনই ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে বিধ্বস্ত হলদা। 
করোনা আতঙ্কের মধ্যে নয়া আতঙ্কে কাঁটা হয়ে রয়েছে গ্রামবাসীরা। ঝড় চলে গেলেও তার তান্ডবলীলা এখন ধুকছে বাংলার মানুষ। মাথা গোজার ঠাঁই টুকু নেই তাদের। একটা ত্রিপলের অপেক্ষায় তাকিয়ে রয়েছে তার। পেটে খিদের জ্বালায় চোখ বন্ধ হয়ে আসছে কারোর। সেই অসহায় মানুষগুলোর পাশে মানবিক উদ্যোগে সামিল টলি অভিনেত্রী স্বস্তিকা। 

স্যানিটারি ন্যাপকিন থেকে, বইখাতা, পেন-পেন্সিল, খাদ্যদ্রব্য সমস্ত কিছু নিয়ে পৌঁছে গেছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা। প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা জেনেছেন একবারে ঘরের লোকের মতোন।  

অভিনেত্রীকে কাছ থেকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন গ্রামবাসীরা। সন্ধি নামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই গত ৭ তারিখ হলদায় পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। গ্রামের ছোটদের সঙ্গে ত্রিপল খাটিয়ে রাত কাটানো থেকে রান্না-খাওয়া সবই করেছেন অভিনেত্রী।

দৈনিক বগুড়া