বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

একটা সময় পর মানুষ আর লম্বা না হওয়ার কারণ

একটা সময় পর মানুষ আর লম্বা না হওয়ার কারণ

স্বাভাবিক নিয়মেই একজন মানুষ ছোট থেকে বড় হয়। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে তার উচ্চতাও। একজন মানুষ ঠিক কতটা লম্বা হবেন সেটা মূলত নির্ভর করে তার মা-বাবার উচ্চতার উপরই। তবে মা-বাবার উচ্চতা কম হলেই যে সন্তান বেশি লম্বা হবেন না, এমন ধারণাও ভুল।

মা-বাবা বেঁটে কিন্তু সন্তান লম্বা হয়েছে সেটাও কিন্তু দেখা যায়। তবে লম্বা হওয়ার উপর বংশের একটা প্রভাব থাকে। জন্মগতভাবে নানা বা দাদার বংশের কারো লম্বা জিন পেলে মা-বাবা খাটো হলেও সন্তান লম্বা হবে। তবে ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রেই মা-বাবার উচ্চতার উপরে সন্তানের উচ্চতা নির্ভর করে। এখানে মানুষের কোনো হাত নেই।

চিকিৎসাবিদ্যা বলে, মায়ের গর্ভে থাকাকালে মায়ের খাবার গ্রহণের মাধ্যমে সন্তান যদি পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় তবে তার লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশিই থাকে। এছাড়া জন্মের পর পুষ্টিকর খাবার ঠিকঠাক খেলে ১৮ বছরের মধ্যে (কারো ক্ষেত্রে ২১ বছর) যতটুকু লম্বা হওয়ার সেটা হয়ে যাবে।

চিকিৎসাবিজ্ঞান জানায়, মানুষের মাথায় কপাল বরাবর একজোড়া গ্রন্থি আছে। সেটাকে পিটুইটারি গ্রন্থি বলে। বাড়ন্ত বয়সে সেই গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরিত হয়। হরমোন বেশি মাত্রায় উৎপন্ন ও ক্ষরণ হলে মানুষ অনেক লম্বা হয়। কিন্তু এই হরমোন যদি খুব কম মাত্রায় উৎপন্ন এবং ক্ষরণ হয় তাহলে মানুষ বেঁটে বা কম লম্বা হয়। হরমোন নিঃসরিত হওয়ার সময় হাড়ের জয়েন্টে গ্রোথ প্লেট বাড়তে থাকে।

যখন একজন মানুষের হাড়ের গ্রোথ প্লেট নির্দিষ্ট বয়সে শক্ত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়, তখন মানুষের উচ্চতা স্থির হয়ে যায়। তখন গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ হলেও সেটা উচ্চতা বাড়াতে পারে না। তখন শরীরের হাড়ের পুরুত্ব বাড়ে কিন্তু হাড় বাড়ে না। লম্বা বা বেঁটে হওয়াটা মাথার পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসরিত গ্রোথ হরমোন ও শরীরের হাড়ের গ্রোথ প্লেটের উপর নির্ভর করে। দু‘টি জিনিস একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।

জন্মের সময় সন্তান তার মা-বাবার কাছ থেকে জিনগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মে। সে কতটুকু লম্বা হবে সেটা আগে থেকে নির্ধারিত। পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ততটুকুই হরমোন নিঃসরিত হবে যতটুকু জন্মের সময় নির্ধারিত হয়েছিল। তাই লম্বা বা বেঁটে হওয়া সম্পূর্ণ বংশের জিনগত বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভরশীল।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

দৈনিক বগুড়া