বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা সংকটকে পুঁজি করে ফায়দা লুটতে চায় বিএনপি

করোনা সংকটকে পুঁজি করে ফায়দা লুটতে চায় বিএনপি

বিএনপি করোনা সংকটকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটা তাদের কার্যক্রমে এরইমধ্যে পরিষ্কার হয়েছে। 

বুধবার এক ভিডিওবার্তায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা সংকট সমাধানে বিরোধী দলসমূহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। করোনা তহবিল গঠন ও ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়েছে। করোনা ক্যাম্প চালুসহ সরকারকে সহায়তা দিয়েছে। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে সরকারকে সহায়তা এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু একটি দল সার্কাসের হাতির মতো সমালোচনার বৃত্তেই আবর্তিত হচ্ছে। সেই দলটি বিএনপি। সংকটকে শেখ হাসিনার সরকার সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। আর বিএনপি সংকটকে পুঁজি করে, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। জনসমাগম এড়াতে সচেতনতা তৈরি, সাধারণ ছুটি চলাকালে অসহায়, কর্মহীন মানুষের সহায়তা, প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা,  চিকিৎসার সক্ষমতা বাড়ানো, টেস্টিং ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিসহ, চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ দিনদিন আরো বাড়ানো হচ্ছে।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের আরো স্বাস্থ্য সচেতনা বৃদ্ধিতে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের কতিপয় নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। আমি এই নির্দেশনাগুলো প্রতিপালন ও মেনে চলার জন্য  আমাদের সব নেতাকর্মী-জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।  

নির্দেশনাগুলো হলো: অফিস-আদালত, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্রই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করছি। গণপরিবহনে চলাচলের সময় স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলাচল করতে হবে। জনসম্মুখে সবসময় মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ করছি। দলীয় নেতাকর্মীরা নিজেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন এবং তা প্রতিপালনে জনগণকে সচেতন করবেন।  

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। জনপ্রতিনিধিরা অঞ্চলভিত্তিক তদারকির মাধ্যমে সংক্রমণ রোধের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরনে ভূমিকা রাখবেন।

আপদকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায়, দুস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। এরইমধ্যে অনিয়মের অভিযোগে অনেক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যারা অপকর্ম করবে শাস্তি তাকে পেতেই হবে। তাদের দলীয় পরিচয় হলেও কোনো অবস্থায় কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। এ সব নির্দেশনা প্রতিপালন এবং করোনা বিরোধী লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধ সাহসী ও মানবিক প্রয়াস সংকট উত্তরণের পথ সুগম করবো।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সাহসী মানবিক এবং উদ্যমী প্রয়াস দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।  সরকার সাধারণ ছুটি তুলে নেয়ার সময় এবং আগে-পরে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও কিছু কিছু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে শৈথিল্য প্রদর্শন করছ। যা সংক্রমণের মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, মৃত্যুর হারও ক্রমেই বাড়ছে। এ অবহেলা নিজের জন্যই শুধু নয় পরিবার সমাজ তথা অন্যদের জন্য ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

সচেতনতার প্রাচীর গড়ে তোলার জন্য আমি আবারো সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। না হয় জনস্বার্থে এবং জনস্বাস্থ্যের রক্ষায় সরকার আবারো কড়াকড়ি আরোপ তথা কঠোর হতে বাধ্য হবে।

মন্ত্রী বলেন, ক্রম অবনতিশীল এ পরিস্থিতিতে সরকার সংক্রমিত এলাকা এবং নানান দিক বিবেচনা নিয়ে এলাকাভিত্তিক জোনে বিভক্ত করার বিষয়টি ভাবছে। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে কাজ করছে, কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। 

‘জনগণের ঘনত্ব, সংক্রমণের মাত্রা, রোগীর সংখ্যা, পার্শ্ববর্তী এলাকা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেস্টিং ফ্যাসিলিটি, চিকিৎসা সুবিধাসহ নানা বিষয় এর সঙ্গে জড়িত। বিস্তারিত পরিকল্পনা পাওয়া গেলে যাচাই-বাছাই করে সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’ 

তিনি বলেন, গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মালিক-শ্রমিকদের অনুরোধে এরইমধ্যে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এরপরও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিশ্চয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ব্যাপারে মালিক, শ্রমিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি বিআরটিএ’কে নির্দেশনা দিচ্ছি। 

দৈনিক বগুড়া