বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কাশি হলেই সিরাপ খেয়ে এসব বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

কাশি হলেই সিরাপ খেয়ে এসব বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

ঠান্ডা-কাশি হলেই অনেকে ওষুধের দোকানে ছুটেন কাশির সিরাপ কিনতে। আর এসব সিরাপ দুই এক বেলা খেলেই তো কাশি সেরে যায়, এমনই ভাবনা সবার। তবে জানেন কি শরীরের জন্য কতটা খারাপ এই কাশির সিরাপগুলো?

বাজারে চলতি কাশির সিরাপগুলোয় কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে? চিকিৎসকদের অনেকেই জানিয়েছেন, অনেক সময় খিঁচুনি, ঝিমুনি, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, কিডনি, যকৃতের সমস্যাসহ নানা ক্ষতি হতে পারে এসব কাশির সিরাপে।

তাই বিপদ এড়াতে ঘন ঘন কাশির সিরাপ খাওয়া বন্ধ করুন। কাশির সিরাপে হাইড্রোকার্বন থাকে। মূলত বুকব্যথা ও কাশি কমাতে এটা ব্যবহৃত হয়। হাইড্রোকার্বন একধরনের মাদক যা ক্ষতিকর। 

এছাড়াও কাশির সিরাপে অনেক উপাদান থাকে, যেগুলোর কারণে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, ঝিমুনি আসে, ঘুম ঘুম ভাব হয়। সিরাপের মরফিন স্নায়ু ও পেশিকে শিথিল করে দেয়। এফিড্রিনের কারণে শ্লেষ্মা শুকিয়ে যায়। 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খুব প্রয়োজন না থাকলে ফ্যানের বাতাস ও এসি বন্ধ রাখুন। কারণ দীর্ঘক্ষণ এসির মধ্যে থাকলে বাড়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ।

সর্দি-কাশি হলে এই পরামর্শগুলো মেনে চলুন-

> গরম পানি, চা, ভেপার, গার্গল এসব করলে কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ হলে তার কর্মক্ষমতা অনেকখানি নষ্ট হয়ে যায়। প্রচুর পরিমাণে পানি খান। এতে কাশি পাতলা হবে।

> শুকনো কাশি থাকলে ও গলা খুশখুশ করলে হালকা গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে কুলকুচি বা গার্গল করুন। মুখে কোনো লজেন্স, লবঙ্গ বা আদা রাখলেও আরাম পাবেন।

> হাঁপানি ও অ্যালার্জির রোগীরা এই সময় সাবধান থাকুন। কারণ এখন আবহাওয়ার আকস্মিক পরিবর্তনের সময়।

> এ সময়ই হাঁপানির জটিলতা বাড়ে। প্রয়োজনে ইনহেলার ব্যবহার করুন। বাড়িতেই তৈরি করুন হার্বাল চা। দোকানের তুলসী চায়ের থেকে তা অনেক বেশি পুষ্টিতে ভরপুর।

> এছাড়াও বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবাই বারে বারে খান এই চা। রসুন, আদায় যে অ্যারোমা থাকে তা শ্বাসযন্ত্রকে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে। সেই সঙ্গে সাইনাসের সমস্যা যাদের আছে তাদের জন্য খুবই উপকারী।

দৈনিক বগুড়া