মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গরিব মানুষগুলোই দেশের মালিক: প্রধানমন্ত্রী

গরিব মানুষগুলোই দেশের মালিক: প্রধানমন্ত্রী

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য সরকারের নবীন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৃণমূলে পড়ে থাকা গরিব লোকজনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেন, এই দেশের গরিব মানুষগুলো বা এখনও যারা সেই তৃণমূলে পড়ে আছে, তারা এই দেশের মালিক। আর তাদেরই ঘর থেকে কিন্তু আজকে সবাই লেখাপড়া শিখে উঠে এসেছেন। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তাদের সেবা করাটা হবে সব থেকে বড় দায়িত্ব।

বৃহস্পতিবার সকালে ৭০তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে স্বাধীন দেশ ও সমাজের উপযোগী সিভিল সার্ভিস গঠনের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছিলেন এবং সেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ উদ্ধৃত করে সরকারপ্রধান বলেন, তিনি বলেছিলেন- ‘আপনি চাকরি করেন। আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব কৃষক। আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব শ্রমিক। আপনার সংসার চলে ওই টাকায়। আমি গাড়িতে চড়ি ওই টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলেন। ওদের ইজ্জত করে কথা বলেন। ওরাই মালিক’।

আওয়ামী লীগ সরকারে থাকাবস্থায় সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু বেতন বাড়ানো নয়, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও দিয়েছি। কারণ যারা কাজ করবেন, তাদের যদি সংসারে টানাটানিই থাকে, তা হলে আবার দেশের জন্য কাজ করবেন কীভাবে, মানুষের জন্য কাজ করবেন কীভাবে। সেই কথাটা বিবেচনায় রেখেই সবার বেতন-বোনাস যেমন বাড়িয়েছি, পাশাপাশি সবাইকে আমরা ব্যাংকের স্বল্পসুদে ঋণ দিচ্ছি, যাতে ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরি করতে পারে অথবা গাড়ি কিনতে পারে। বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে দিয়েছি এবং চিকিৎসার জন্য আলাদা হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছি।

জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর খুনিদের বাঁচাতে তৎকালীন সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘শুধু আমি কেন... ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা শাহাদৎ বরণ করেছিল, তাদের কারও বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। আমার বাবা, মা, ভাই মারা গেছে, আমি একটা মামলাও করতে পারিনি। আমার সেই অধিকারটাও ছিল না। এই সংস্কৃতি যেন বাংলাদেশে আর না থাকে। মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়।’

পরে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এটিই হচ্ছে দুর্ভাগ্যের বিষয়। আমরা চাই কোনো অন্যায়-অবিচার যেন না হয়। মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়। মানুষের জীবন মান যেন উন্নত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ন্যায়বিচারটা যেন সবাই পায়। অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিমসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চিরতরে বন্ধ হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে বগুড়ায় যমুনার পাড়ে বিনোদনপ্রেমীদের ঢল
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে দেয়া নির্দেশনা চারটি স্থগিত
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
বো*মের মতো সিলিন্ডার বি*স্ফোরণ, করণীয় কী
আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
স্মার্টফোন থেকে ছবি মুছে গেলে উদ্ধার করবেন যেভাবে
বৈসাবি উৎসবের আমেজে ভাসছে ৩ পার্বত্য জেলা
জুমার দিনে যেসব কাজ ভুলেও করতে নেই