শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গর্ভাবস্থায় যে চার ফল খেলেই ঘটবে মারাত্মক বিপদ!

গর্ভাবস্থায় যে চার ফল খেলেই ঘটবে মারাত্মক বিপদ!

গর্ভাবস্থায় প্রতিটি নারীকেই থাকতে হয় একটু বেশি সতর্ক। এই সময় খাওয়া থেকে শুরু করে শোয়া পর্যন্ত সবকিছুতেই বাড়াতে হয় সাবধানতা। নিশ্চয়ই জানেন, গর্ভাবস্থায় ফল ও শাক-সবজি খাওয়া খুবই জরুরি। কারণ এতে গর্ভবতী মা ও শিশুর পুষ্টিমান বজায় থাকে। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। 

তবে এসময় এমন কিছু ফল আছে যেগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। নইল্র এতে গর্ভবতী মা ও শিশু উভয়েরই মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক সেই ফল ও সেগুলোর দ্বারা ক্ষতি সম্পর্কে-

আনারস

আনারস একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। মাসিক চক্র বন্ধ বা মেনোপজের সময় এই ফলটি নারীদের জন্য খুব বেশি প্রয়োজন হয়।  তবে গর্ভবতী নারীদের এই ফল থেকে দূরে থাকা উচিত, কারণ এটি খেলে গর্ভস্থ বাচ্চার মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় যেসব কারণে আনারস খাবেন না সেগুলো হলো- 

> আনারস গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

> আনারস খেলে জরায়ু সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা গর্ভে বিকাশমান বাচ্চার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

> আনারসের ব্রোমেলিয়ান জরায়ুমুখকে নরম করে।

পেঁপে

কাঁচা অথবা অর্ধপাকা পেঁপেতে ল্যাটেক্স থাকে, যা গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলা উচিত। গর্ভবতী নারীদেরকে তৃতীয় বা শেষ ট্রাইমেস্টারে কাঁচা পেঁপে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। যেসব কারণে প্রেগন্যান্সির সময় কাঁচা বা অর্ধপাকা পেঁপে খাবেন না সেগুলো হলো- 

> কাঁচা ও অর্ধপাকা পেঁপের ল্যাটেক্স জরায়ু সংকোচন ও অকালে প্রসব বেদনার কারণ হতে পারে।

> কাঁচা পেঁপে শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে পারে।

> কাঁচা পেঁপের পাপাইন ভ্রুণকে সহায়তাকারী ঝিল্লিকে দুর্বল করতে পারে।

> কাঁচা পেঁপের পাপাইন হলো একটি কমন অ্যালার্জেন যা বিপজ্জনক অ্যালার্জিক রিয়্যাকশন সৃষ্টি করতে পারে।

তেঁতুল

ভিটামিন সি’র অন্যতম সমৃদ্ধ উৎস হলো তেঁতুল, তবে অতিরিক্ত ভিটামিন সি গর্ভবতী নারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যেসব কারণে গর্ভবতী নারীরা তেঁতুল এড়িয়ে চলা উচিত সেগুলো হলো-

> অত্যধিক ভিটামিন সি গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে অতিমাত্রায় ভিটামিন সি খেলে প্রজেস্টরনের উৎপাদন কমে যেতে পারে, যা গর্ভপাত ঘটাতে পারে।

> ভিটামিন সি’র উচ্চ ডোজ প্রি-টার্ম বার্থ বা সঠিক সময়ের পূর্বেই বাচ্চা প্রসবের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।

> প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি খেলে ভ্রুণের কোষ ড্যামেজ হতে পারে।

আঙুর

প্রেগন্যান্সির সময় আঙুর খাওয়া নিয়ে রয়েছে একটি বিতর্কিত বিষয়। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন যে, গর্ভাবস্থায় আঙুর সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ এবং অন্য বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, এসময় এই ফলটি এড়িয়ে চলাই ভালো। যদি আঙুর আপনার খুব প্রিয় হয়, তাহলে নিজ বিবেচনায় অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। কিন্তু খালিপেটে আঙুর খাবেন না অথবা অ্যাসিড রিফ্লাক্স থাকলে মোটেই খাবেন না। যেসব কারণে গর্ভাবস্থায় আঙুর না খাওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন সেগুলো হলো- 

> আঙুরে প্রচুর পরিমাণে রেসভিরাট্রোল থাকে। এই কেমিক্যালটি মা হতে যাওয়া নারীদের জন্য বিষাক্ত হতে পারে।

> গর্ভবতী নারীদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল। তাদের দুর্বল পরিপাকতন্ত্র কালো আঙুরের খোসা হজম করতে পারে না।

> বেশি পরিমাণে আঙুর খেলে অ্যাসিডিটি, বমিভাব ও বমি হতে পারে। অত্যধিক আঙুর খেলে পাতলা পায়খানা অথবা ডায়রিয়া হতে পারে।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

এবার উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির!
বগুড়ায় পানি নিষ্কাশনে ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
বগুড়ায় দাম কমেছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের
বগুড়ার বিখ্যাত সাদা সেমাই তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
ঈদে ট্রেন যাত্রার পঞ্চম দিনের টিকিট বিক্রি শুরু
গাবতলীতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
সারিয়াকান্দিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা পালিত
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু