বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গাবতলীতে বাবরী মসজিদের আদলে গড়া ৬শত বছরের পুরনো মসজিদের সন্ধান

গাবতলীতে বাবরী মসজিদের আদলে গড়া ৬শত বছরের পুরনো মসজিদের সন্ধান

বগুড়ার গাবতলীতে ভারতের বাবরী মসজিদের আদলে তৈরীকৃত একটি ৬শত বছরের পুরনো মসজিদের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে। মসজিদটি দেখতে এলাকায় প্রতিদিন মানুষ ভীর করছে।

গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের বাইগুনি মধ্য সাইড়পাড়া (প্রামানিক পাড়া) গ্রামের পশ্চিমে একটি বাঁশ ঝারের মধ্য মসজিটি অবস্থিত। এলাকার সাধারন মানুষ মসজিটি কবে নির্মিত হয়েছে, কে নির্মান করেছে তার কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।

ধারনা মতে মোঘল আমলে বা সম্রাট বাবর’র আমলে ৬ শত বছর আগে এই মসজিটি নির্মান করে থাকতে পারেন। মসজিদ টিতে একটি দরজা ও একটি জানালা রয়েছে রয়েছে, তাতে কোন পাল্লা বা গ্রীল নেই। ১৬ ফিট দৈর্ঘ ও প্রস্তের মসজিদচির উচ্চতা প্রায় ১৮ ফিট। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদ চুন সুরকি দিয়ে নির্মিত হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। ২ ইঞ্চি প্রস্থ ও ১০ ইঞ্চি লম্বা পোড়া মাটির ইট দ্বারা ২০ ফিট দেয়ালের প্রাচীর রয়েছে।

দরজা ও জানালার উচ্চতা ৫ ফিট প্রস্থ ২ ফিট ফাঁকা দিয়ে মসজিদে মুসুল্লিগন ভেতরে প্রবেশ করতো। ঈমামসহ ১১ জনের মুসুল্লি নামাজ পড়তে পারবে এমন জায়গা মসজিদের ভেতরে রয়েছে। মসজিদের ভেতরে সল্প আকারে একটি মেহরাব দেখা যায়।

মসজিদের দেয়ালের চারপাশের কোনায় কারুকার্য নির্মান শৈলী লক্ষ্য করাযায়। বাহিরের দেয়ালে পোড়া মাটির ইটগুলো কিছু কিছু অংশ ক্ষয়ে গেলেও মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করলে এখনো এর সুন্দর্য লক্ষকরা যায়। মসজিদের ভেতরে উপরের দিকে লক্ষ করলে দেখা যায় গম্বুজের ইট ও দেয়াল এখনো চক চক করছে, যেন এখনো হাসছে। পাতলা আবনের পলাষ্টার দেখা যায় মসজিদের দেয়ালের গোড়ার দিকে।

তবে কোন সন, তারিখ বা কোন শাসকের আমলে এটি নির্মান হয়েছে তার কোন খোদাই করা বা নাম ফলক দেখতে পাওয়া যায়নি। সরকারি খাস খাতিয়ানে ৩ শতাংশ জমিতে মসজিদ অবস্থিত।

অযন্তে, অবহেলায় মসজিদটির গায়ে ও গম্বুজে শ্যাওলা ও বিভিন্ন গাছ-গাছরাসহ আগাছা গজে উঠেছে। মসজিদের সীমানা ঘেঁসা বাড়ি আব্দুল বারি ভুলু জানান, এই মসজিদে মানুষ নামাজ না পড়লেও হয়তো সেখানে জী¡নেরা নামাজ পড়েন।

এর কারন আমি ২০ বছর আগে মসজিদের পাশে বাথরুম তৈরী করে ছিলাম। এক রাতের মধ্য তা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। আমি ভয়ে সেখান থেকে বাথরুম সড়িয়ে অন্যত্র নির্মান করি। মসজিদের গায়ে বা দেয়ালে লাগিয়ে কোন কাপড়সহ যে কোন জিনিস শুকানোর জন্য দেয়া হলে তা গায়েব হয়ে যেত। কাপড় গুলো কয়েকদিন পর টুকরো টুকরো ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া যেত।

তা থেকে বোঝা যায় এখানে জ্বীন বসবাস করছে। তবে জ্বীন কারো বড় ধরনের ক্ষতি করেনি। আব্দুল হান্নান প্রাংসহ এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানায়, এই মসজিদটি কবে নির্মান হয়েছে তার কোন সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারেনি।

তারা শুনেছেন প্রায় ৬ শত বছর আগে এখানে মসজিটি নির্মিান হয়ে থাকতে পারে। এলাকার লোকজন মাঝে মধ্য মসজিদের দেয়াল থেকে আগাচা পরিস্কার করলেও এর কেউ খোঁজ খবর রাখেনি।

এব্যারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) সালমা আক্তার লিজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা সরজমিনে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে মসজিদটির প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

দৈনিক বগুড়া