সামান্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে আমরা আমাদের শিশুদের কে তীব্র শীতেও সুস্থ্য রাখতে পারি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকটি নিম্নরুপঃ
১. খুব ভোরে আর সন্ধ্যার সময় দরজা জানালা বন্ধ রাখুন। নবজাতকের শরীরে কাঁথা দিয়ে মুখ নাক ঢেকে দিন। তবে শ্বাস যেন বন্ধ নাহয়ে যায় ।ঠান্ডা থেকে বাচার ভালে উপায় হলো নবজাতকের জামা খুলে মায়ের বুকের কাছে মায়ের কাপড়ের নিচে তাকে ঢুকিয়ে দেওয়া ।
২. উষ্ণতার জন্য রুম হিটার ব্যবহার করলে লক্ষ্য রাখবেন যেন ঘর বেশি শুষ্ক হয়ে না যায় ।
৩. খুব বেশি শীতে বাচ্চাদের বাইরে না নেওয়ায় ভাল খুব বেশি ঠান্ডায় গোসল না করিয়ে গরম পানিতে পাতলা কাপড় দিয়ে সারা শরীর মুছে দিতে পারেন।
৪. একটু বড় বাচ্চাদের ঠান্ডা থেকে বাচাতে খুব মোটা কাপড় না পরিয়ে কয়েক স্তরের কাপড় পরান। বাইরে বের হলে হাতমোজা ,কানটুপি ,পরাবেন।
৫. বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার আগে কাপড় পাল্টে পরিচ্ছন্ন হয়ে নিন । সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।
৬. তীব্র শীতে শিশুর ত্বকে লোশন ব্যবহার না করে ভেসলিন বা ক্রিম লাগান , মুখ ছাড়া অন্যত্র অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন।
৭. এই আবহাওয়ায় শিশুদের জ্বর কাশির বেশির ভাগই ভাইরাসজনিত । জ্বরের জন্য পেরাসিটামল ,কাশির জন্য নরসল নাকের ড্রপ আর নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানোই মূল চিকিৎসা । প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
দৈনিক বগুড়া